অক্সিজেনের গরমিল সংক্রান্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য গত মাসেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তৈরি হয়েছিল অক্সিজেন অডিট কমিটি। মূলত কোভিড পরিস্থিতিতে কত অক্সিজেন প্রয়োজন ও কত অক্সিজেন চাওয়া হচ্ছে সেটা যাচাই করার জন্যই এই অডিট কমিটি তৈরি হয়। এদিকে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, সেই কমিটির রিপোর্টে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য়। একাধিক মহলের দাবি, অডিট রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৪ গুণ বেশি অক্সিজেন চেয়েছিল দিল্লি সরকার যা নিয়মবিরুদ্ধ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিভিন্ন মহলের দাবি, অন্তর্বর্তী রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দিল্লি সরকার ১ হাজার ১৪০ মেট্রিক টন অক্সিজেন চেয়েছিল। এদিকে প্রতি বেডের হিসাবে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৮৯ মেট্রিক টন। অক্সিজেন সিলিন্ডার চাওয়ার ক্ষেত্রে কার্যত বড়সর গরমিল। প্রায় ৪ গুণ বেশি অক্সিজেন চাওয়া হয়েছিল কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়। অভিযোগ এমনটাই।পাশাপাশি দিল্লির অন্তত চারটি হাসপাতালে বেড সংখ্যার অনুপাতে অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল অত্যন্ত কম। অভিযোগ, সেই তুলনায় অক্সিজেন চাওয়া হয়েছে অনেকটাই বেশি। এক্ষেত্রে ভুল তথ্য পেশ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে অতিমারির ভয়াবহতা আঁচ করেই কি অতিরিক্তি সিলিন্ডার মজুত করার চেষ্টা হয়েছিল দিল্লিতে?
এদিকে গোটা ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ সিসোদিয়া। নিজেদের সাজানো রিপোর্টকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিজেপি, এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘একটা তথাকথিত রিপোর্টের কথা শোনা যাচ্ছে যেখানে নাকি অক্সিজেনের চাহিদার কথা বাড়িয়ে বলা হয়েছে। এই ধরণের কোনও রিপোর্ট নেই। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। অক্সিজেন অডিট কমিটির সদস্য়দেরও আমরা জিজ্ঞাসা করেছি।তাঁরা বলছেন এই ধরণের কোনও রিপোর্ট তাঁরা স্বাক্ষর করেননি বা অনুমোদন দেননি। তবে এটা কীসের রিপোর্ট? বিজেপির কাছে চ্য়ালেঞ্জ করছি কমিটির অনুমোদন রয়েছে এমন রিপোর্ট ওরা দেখাক। বিজেপি নিজেরা রিপোর্ট তৈরি করে অক্সিজেন অডিট কমিটির নামে চালাচ্ছে।’