প্রত্যেক সরকারি চাকুরিজীবী শিক্ষককেই কোভিড ডিউটি করতে হবে। দিল্লিতে জারি হল এমনই নিয়ম। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে(IGI) কোভিড-সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত করা হবে এই শিক্ষকদের। আগামী ১-১৫ জানুয়ারি দিল্লিতে স্কুলগুলিকে শীতের ছুটি পড়ছে। তবে এই সময়টায় কিন্তু কোনও শিক্ষককেই বাড়িতে বসিয়ে বেতন দেবে না দিল্লি সরকার।
গত ২৬ ডিসেম্বর দিল্লি সরকার বিভিন্ন দেশে কোভিডের বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় বসে। তার পরে কেজরি জানায়, জরুরি পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সাধারণ ওষুধের জোগান নিশ্চিত করা হয়েছে। এর জন্য হাসপাতালগুলিকে ১০৪ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করেছে দিল্লি সরকার। আরও পড়ুন: Coronavirus: তিন বছরের শিশুর শরীরে মিলল করোনাভাইরাস, শিলিগুড়িতে ব্যাপক আলোড়ন
আগামী দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা দিল্লির বিশেষজ্ঞদের। আর সেই কারণে এখন থেকেই নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি। শহরের সমস্ত সরকারি হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। ওষুধের মজুদ এবং সরবরাহ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় রাজধানীতে কোভিডের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। আর সেই কারণে সাধারণ মানুষকে ফের মাস্ক পরার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনবহুল এলাকায় কঠোরভাবে কোভিড সুরক্ষা বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার।
২৬ ডিসেম্বর, দিল্লিতে পজিটিভ সংক্রমণের হার ছিল ০.৩৯% । সাম্প্রতিক টেস্টিং-এর মাধ্যমে মোট ৭টি নতুন COVID-19 কেস ধরা পড়েছে। মোট ১,৮০০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া হাসপাতালগুলিকে কোভিডের জন্য তৈরি থাকার সুপারিশ করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মান মেনে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি হাসপাতালগুলিকে স্বাস্থ্য বিভাগকে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দেন মনীশ সিসোদিয়া।
২৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অনুযায়ী, দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী সরকারি হাসপাতালগুলির কর্তাদের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন। সেই সময়েই এই সকল সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভ্য বলেন, 'কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিড প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সবার সঙ্গে যাবতীয় তথ্য শেয়ার করছে। আমার অনুরোধ, সবাই যেন যে কোনও তথ্য যাচাই করে, তবেই তা ব্যবহার এবং শেয়ার করেন।' আরও পড়ুন: দেশে কোভিড সংক্রমণ তো কম, তাহলে এখন কেন মক ড্রিল? যা জবাব দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দিল্লির COVID-19 হাসপাতালগুলিতে সব মিলিয়ে মোট ৮,১৯৮টি শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ১৪টি আপাতত ভর্তি রয়েছে। অন্যদিকে ১৮ জন রোগী বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন।