৩৩ সপ্তাহের গর্ভস্থ ভ্রুণকে নষ্ট করার অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা। সূত্রের খবর, মায়ের পেটের মধ্যে থাকা ভ্রুণটিতে কিছুটা বিকৃতি ছিল। তার জেরেই গর্ভস্থ ভ্রুণটিকে নষ্ট করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর সঙ্গেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা সিদ্ধান্তটাই নিতে হবে মাকে।
বিচারপতি প্রতিভা এম সিং জানিয়েছেন, তিনি মানসিক যন্ত্রণাটা বুঝতে পারছেন। ওই আবেদনকারী সব জেনেবুঝেই এই সিদ্ধান্তে আসছেন।
বিচারপতি জানিয়েছিলেন,ভ্রুণের পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে ও ঝুঁকির বিষয়টি জেনেই ওই মহিলা ভ্রুণ নষ্ট করার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন। কোর্ট রায়দান করার সময় জানিয়েছে, মায়ের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুসারে ওই শিশুর জন্মের ক্ষেত্রে নানা ঝুঁকি থেকে যেত।সেক্ষেত্রে এই বিশেষ ক্ষেত্রে মেডিক্যাল টার্মিনেশনের পক্ষে রায় দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ওই গর্ভস্থ সন্তানের সেরিব্রাল সমস্যা রয়েছে এমন ইঙ্গিত মিলেছিল রিপোর্টে। এরপরই ওই মহিলা তাঁর ৩৩ সপ্তাহের গর্ভস্থ সন্তানকে নষ্ট করার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। তবে নিয়ম বলছে, মেডিক্যাল টার্মিনেশন প্রেগনান্সি অ্য়াক্ট অনুসারে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভস্থ সন্তানকে নষ্ট করার অনুমতি সাধারণত দেওয়া হয়।
এদিকে আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২৪ সপ্তাহের সময়সীমাটা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ ওই মহিলার গর্ভে যে সন্তান রয়েছে তার সেরিব্রাল সমস্যা রয়েছে বলে রিপোর্টে দেখা গিয়েছে।
এদিকে তার আগে লোকনায়ক জয়প্রকাশ হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডকে ওই ভ্রুণের পরিস্থিতি সম্পর্কে দেখার কথা বলা হয়েছিল। এদিকে রায়দান করার সময় বোর্ডের তরফে জানানো হয়, কতটা প্রতিবন্ধকতা ওই শিশুর থাকবে তা আগাম বোঝা সম্ভব নয়। সেকারণে মেডিক্যাল বোর্ড সরাসরি কোনও কথা ভবিষ্যৎবাণী করতে চায়নি। গোটা বিষয়টি তাঁরা ওই মহিলার উপরেই ছেড়ে দেন। এরপরই গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়।