দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করল দিল্লি হাইকোর্ট। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
মীনা সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষেত্রে ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইন কার্যকর হবে কিনা, সেই সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আধুনিক ভারতীয় সমাজ ক্রমশ ‘সমগোত্রীয়’ হয়ে যাচ্ছে। তাতে ধর্ম, জাত, বর্ণের মধ্যে যে ‘বাধা’ থাকত, তাও ক্রমশ মুছে যাচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রয়োজন আছে। বিচারপতি প্রতিভা এম সিংয়ের পর্যবেক্ষণ, বিভিন্ন পার্সোনাল ল’-এর মধ্যে যে পার্থক্য আছে, তার জেরে বিভিন্ন বিষয় গড়াচ্ছে আদালতে। বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সমস্যায় পড়ছেন বিভিন্ন ধর্ম, জাত, বর্ণের মানুষরা।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভারতীয় সংবিধানের ৪৪ নম্বর ধারায় যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির কথা বলা আছে, তাতে মাঝেমধ্যেই জোর দিযেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সকলের জন্য একইরকম হবে। বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে থাকবে একইরকম নীতি। তার ফলে বিভিন্ন পার্সোনাল ল’য়ের কারণে সমাজে যে দ্বন্দ্ব এবং বৈপরীত্য তৈরি হয়, তা কমবে।
এমনিতে দেশে অভিন্ন দেওযানি বিধি চালু করার পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে সওয়াল করে আসছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং বিজেপি। ১৯৯৮ সাল থেকে বিজেপির ইস্তাহারেও থাকছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। অনেকের ধারণা, মুসলিমদের তিন তালাক রদও সেই অভিন্ন নীতির প্রথম ধাপ ছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের খবর, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দুদের একাংশেরও অসন্তোষ আছে। তাই সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চায় বিজেপি। ২০১৯ সালেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য জানিয়েছিলেন, সঠিক সময় দেশে অভিন্ন দেওযানি বিধি চালু করা হবে।