এক্স সার্ভিসমেনদের পক্ষে যে রায় হয়েছে তা নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রক বার বার চ্যালেঞ্জ করছে আদালতে। আর তারপরই দিল্লি হাইকোর্ট মন্ত্রককে এনিয়ে রীতিমতো সতর্ক করে দিয়েছে। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে এভাবে চলতে থাকলে এবার একেবারে জরিমানা আরোপ করা হবে।
গত সপ্তাহে হাইকোর্টের তরফে একটি পর্যবেক্ষণে জানানো হয়েছে, এটা দেখা যাচ্ছে যে আর্মড ফোর্স ট্রাইবুনাল বার বার অর্ডার ইস্যু করছে আর মন্ত্রক বার বার পিটিশন দিচ্ছে। একই আইনগত প্রশ্নের কথা উল্লেখ করে।
আসলে ডিফেন্স সিকিউরিটি কর্পসে এক সেনার পেনশনের অনুমোদনকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিল সেনা ও মন্ত্রক। হাইকোর্ট ইতিমধ্য়েই সরকারের এমন ৩৫০টি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। একই ইস্যুতে সেই আবেদনগুলি করা হয়েছিল।
সেই ২০২৩ সাল থেকে আর্মি আর মন্ত্রক পেনশন আর প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত নানা রায় নিয়ে সেনা ও মন্ত্রক লড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন হাইকোর্টে আর সুপ্রিম কোর্টে এই আইনি লড়াই চলছে। সুপ্রিম কোর্ট অতীতে এনিয়ে নানা ধরনের সতর্ক করেছিল সরকারকে। কারণ তারা বার বার আইনি নানা প্রসঙ্গ তুলছে।
ডিসঅ্য়াবিলিটি পেনশন সংক্রান্ত ব্যাপারে মন্ত্রকের আবেদন নিয়ে এর আগে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে আর্মি আর এএফটি এইচআইভি আক্রান্ত এক সেনার ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করছিল। তবে তাকে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে ২০১৫ সালে এই এত আইনি বিষয়ের জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তৎকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে বলেছিলেন যাতে অন্য কোনও পথে সমস্যা মেটানো যায়।