বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Delhi High Court on Agnipath: ‘অগ্নিপথ প্রকল্পের মূল্যায়ন করার দক্ষতা নেই আমাদের’, পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের

Delhi High Court on Agnipath: ‘অগ্নিপথ প্রকল্পের মূল্যায়ন করার দক্ষতা নেই আমাদের’, পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের

অগ্নিপথ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের (প্রতীকী ছবি) (Australian Army twitter)

দিল্লির উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণ করল, ‘অগ্নিপথ প্রকল্পের মূল্যায়ন করার দক্ষতা নেই আমাদের।’ হাই কোর্ট আরও বলে যে অগ্নিপথ প্রকল্পটি তিনটি বাহিনীর বিশেষজ্ঞদের দ্বারা গঠিত হয়েছিল।

চলতি বছরই চালু হয় ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অগ্নিপথ নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে এই স্কিমের ঘোষণা হতেই দেশ জুড়ে এর বিরোধিতায় আগুন জ্বলতে শুরু করেছিল। এই স্কিমের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয় দিল্লি হাই কোর্টেও। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই দিল্লির উচ্চ আদালত পর্যবেক্ষণ করল, ‘অগ্নিপথ প্রকল্পের মূল্যায়ন করার দক্ষতা নেই আমাদের।’ হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণ করে যে অগ্নিপথ প্রকল্পটি তিনটি বাহিনীর বিশেষজ্ঞদের দ্বারা গঠিত হয়েছিল। এদিকে বিচারপতিরা সামরিক বিশেষজ্ঞ নন। এই আবহে বিচারপতিদের বক্তব্য, এই স্কিমের যোগ্যতার নির্ধারণে দক্ষতা নেই আমাদের।

দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রমনিয়াম প্রসাদের একটি বেঞ্চ বলে, ‘সরকার বলছে যে আমরা একটি তরুণ সেনা চায় এবং তাই বিশেষজ্ঞরা এই পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। আমরা (বিচারপতি) বিশেষজ্ঞ নই... আমরা কীভাবে সিদ্ধান্ত নেব যে কোনটা ভালো? চার বছর না সাত বছর? এটি আমাদের বিষয় নয়।’ উল্লেখ্য, এর আগে এক হলফনামা পেশ করে কেন্দ্রের তরফে উচ্চ আদালতে দাবি করা হয়, অগ্নিপথ স্কিম ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও দুর্ভেদ্য করে তুলবে।

এই আবহে আদালতের তরফে বলা হয়, ‘এই স্কিমে কী ভুল রয়েছে? এটা বাধ্যতামূলক নয়। স্পষ্ট করে বলতে গেলে, আমরা সামরিক বিশেষজ্ঞ নই। আপনি (আবেদনকারী) এবং আমি বিশেষজ্ঞ নই। সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর বিশেষজ্ঞদের ব্যাপক প্রচেষ্টার পর এই নীতিটি প্রণয়ন করা হয়েছে... সরকার একটি বিশেষ নীতি প্রণয়ন করেছে। এটি বাধ্যতামূলক নয়, এটি স্বেচ্ছায় গ্রহণ করা যায়।’

এর আগে অগ্নিপথ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আদালতকে বলেছিল, ‘এই পদ্ধতিটি মেধা ভিত্তিক, স্বচ্ছ। এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি বেশ শক্তিশালী। যাঁরা রেগুলার ক্যাডার হতে ইচ্ছুক, সেই কর্মীদেরও ন্যায্য সুযোগ প্রদান করা হবে এই প্রক্রিয়ায়। এতে জাতীয়তাবাদী, সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ জনশক্তি প্রদান করা যাবে সমাজকে।’ সরকারের দাবি, নতুন সামরিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাহিনীর সামগ্রিক গঠনতন্ত্র এবং কাঠামো বদল প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। সরকারের কথায়, শারীরিক এবং মানসিকভাবে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সক্ষম তরুণরা।

বন্ধ করুন