কোভিডের হালকা উপসর্গ থাকলে হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগ করার অনুমতি চেয়ে দিল্লি আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে সেই মামলা খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। দিল্লি হাই কোর্ট মঙ্গলবার বলে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) মতো বিশেষজ্ঞ সংস্থাই মেডিক্যাল প্রোটোকল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে সেরা বিচারক।
প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি সুব্রমনিয়াম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘মেডিক্যাল প্রোটোকল এবং এই বিষয়ে প্রণীত নির্দেশিকা সম্পর্কে মন্তব্য করা আদালতের কাজ নয়। প্রকৃতপক্ষে এই বিষয়টির ওপর ব্যাপক গবেষণার পরে জারি করা হয়েছে এই নির্দেশিকাগুলি।’ আদালত বলে, ‘হোমিওপ্যাথি কার্যকর, তবে অতিমারীর সময় মেডিক্যাল প্রটোকল নির্ধারণ করতে পারে আইসিএমআর-এর মতো বিশেষজ্ঞ সংস্থাই।’
উল্লেখ্য, কোভিডের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ওষুধের প্রয়োগের আর্জি জানিয়েছিলেন দুই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। তাদের আবেদনই খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। যদিও আদালত জানায় যে আবেদনকারীরা আইন অনুসারে তাদের গবেষণা বা ওষুধের পরীক্ষা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, আদালত যেন আয়ুষ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়ে বলে যে ‘কোভিড প্রতিরোধের জন্য হোমিওপ্যাথি ওষুধ প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক’। আদালত অবশ্য বলে, ‘মহামারীর ক্ষেত্রে কোন প্রোটোকলকে বৈধতা দেওয়া হবে, সেটা নিয়ে বিবেচনা করার দায়িত্ব সরকারের উপরই ছেড়ে দেওয়া উচিত। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্ত বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপর ভিত্তি করে হয়।’ আদালত আরও বলে যে সরকার তাদের নির্ধারিত মেডিক্যাল প্রোটোকলের মাধ্যমেই মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং জনসংখ্যার সিংহভাগকে টিকা দিতে সক্ষম হয়েছে।