শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশের অধিকার একজন মহিলার আইনত রয়েছে। এই বার্তা সাফ জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, এক মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর শ্বশুরমশাই এফআইআর দায়ের করে অভিযোগ তুলেছিলেন যে, তিনি অনধিকার প্রবেশ করছেন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে, এমনকি গয়না চুরিরও অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট এদিন নিজের রায় স্পষ্ট করে দিল।
প্রসঙ্গত, এদিকে ওই মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে নৃশংসতা ও পণের দাবির অভিযোগ তোলেন। তাঁর স্বামীর দ্বারা শারীরিক নির্যাতন, মারধরের অভিযোগও তোলেন মহিলা। এই মামলা নিয়ে গত ১১ এপ্রিল দিল্লি কোর্টে বিচারপতি অনীশ দয়ালের নেতৃত্বে একটি সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানি হয়। এই মামলায় মহিলা অভিযোগ তোলেন, তাঁকে জোর করে মশা মারার অল-আউট লিকুইড খেতে বলা হয়েছিল শ্বশুরবাড়িতে। এরপর স্বামীর হাতে মারধরের ক্ষত নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। মারধরের পর মহিলা বমি করতে থাকেন, গায়ে হাতে ক্ষত হয়, যন্ত্রণা হয়। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময় জানানো হয়, তাঁর যেন সঠিক খেয়াল রাখা হয়। আর হাসপাতালের পরামর্শ নোট করে কোর্ট। কোর্ট জানায়, যাতে মহিলার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যায়, তার জন্যই শ্বশুরবাড়ি থেকে পাল্টা এফআইআর করা হয়। সেই এফআইআর-এ শ্বশুরবাড়িতে মহিলার অনধিকার প্রবেশের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
(মোদী-সুনাক বিশেষ ফোনালাপ! প্রসঙ্গ উঠল খালিস্তানি কর্মকাণ্ড ঘিরেও )
সমস্ত দিকের কথা শুনে কোর্ট রায় দেয়, ‘কোর্টের বিবেচনাযোগ্য মতামতে, পিটিশনারের তাঁর শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ একটি আইনত অধিকার। এই মামলায় তা প্রোটেকশন অর্ডার-এর নিরিখে তা নিশ্চিত করা হল। পিটিশনার তাঁর আইনত অধিকার ব্যবহার করতে পারবেন।' উল্লেখ্য, ক্রমাগত শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের শিকার হওয়ার পর মহিলা শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন। এদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তাঁর শ্বশুরালয়ের সদস্যরা। এরপর তিনি শ্বশুরালয়ের এফআইআরের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। যাতে ওই এফআইআর তাঁর বিরুদ্ধে সরিয়ে নেওয়া হয়। আর তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup