টেক অফের পরই আকাশপথে পাখির ধাক্কা। আর তার জেরে বিপত্তির মুখে পড়ে স্পাইসজেটের বিমান। দিল্লি থেকে লেহগামী বিমানে এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পরে বিমানটি ফিরে আসে দিল্লিতে। জানা গিয়েছে, বিমানের সব যাত্রীরাই নিরাপদ। তাঁদের নিরাপদে বিমান থেকে নামানোর ব্যবস্থাও করা হয় স্পাইসজেটের তরফে।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে যায় স্পাইসজেটের SG123 বিমানে। সকাল ১০.২৯ মিনিটে বিমান টেক অফ করে। বেলা ১১ টা নাগাদ তা ফের ফিরে আসে দিল্লি বিমানবন্দরে। বিমান যাচ্ছিল দিল্লি থেকে লেহ। এই বিমানের ইঞ্জিনে পাখির ধাক্কা লাগে। যার ফলে টেক অফের পরই বিপদে পড়ে যায় বিমান। ফলে আপৎকালীনভাবে অবতরণ করতে হয় দিল্লি বিমানবন্দরে। স্পাইসজেটের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ SpiceJet B737 বিমানটি দিল্লি থেকে লেহ পর্যন্ত যাচ্ছিল, বিমানের ইঞ্জিন ২-এ পাখির ধাক্কার পরে দিল্লিতে ফিরে আসে। বিমানটি দিল্লিতে নিরাপদে অবতরণ করে এবং যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবে অবতরণ করে।’ স্পাইসজেটের এই ঘটনার আগে, গত সপ্তাহে, এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের দুটি বিমান প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছিল। সদ্য ১৯ মে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইটটি, ১৭৯ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু সদস্য নিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে কোচির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বিমানের ডান ইঞ্জিনে আগুনের খবর পাওয়ার পরে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে তার জরুরি অবতরণ হয়। সদ্য় আরও এক ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, মাত্র দুই দিন আগে, ১৭ মে, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট, যা ১৭৫ জন যাত্রী নিয়ে দিল্লি থেকে টেক অফ করেছিল, তার এয়ার কন্ডিশনার ইউনিটে আগুনের পরে ফিরে এসে রাজধানীতে অবতরণ করেছিল।
তবে, সদ্য ঘটা বিমান সম্পর্কিত সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর ঘটনা লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিমানের দুর্ঘটনা। মাঝ আকাশে বিমানটি ঝঞ্ঝার কবলে পড়ে যায়। তার জেরে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। একজন যাত্রীর সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়। জানা যায় বিমানটি তখন ৩৭ হাজার ফুট উপর দিয়ে আকাশপথে যাচ্ছিল। ঝঞ্ঝার জেরে ৩ মিনিটে ৬ হাজার ফুট নিচে নেমে যায় বিমান। ফলে বিমানের অন্দরে আলোড়নের জেরে আহত হন অনেকে।