সবকটি জেলাই রেড জোনে! দেশের মধ্যে এই চিন্তার রেকর্ড গড়ল রাজধানী দিল্লি। এরফলে শহরের প্রায় দুই কোটি মানুষকে আরও দুই সপ্তাহ অনেক বিধিনিষেধের মধ্যে থাকতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার লকডাউন আরও দুই সপ্তাহের জন্য বৃদ্ধি করে দিয়েছে। কিন্তু দিল্লির বহু অঞ্চলে কার্যত কোনও করোনা রোগী নেই। সেই কারণেই রেড জোনের সংজ্ঞা বদলাতে কেন্দ্রের কাছে তদ্বির করবে রাজ্য।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দিল্লি সরকারের তরফ থেকে জানান হয়েছে যে তারা একটি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে কেন্দ্রের কাছে পাঠাচ্ছে যেখানে জেলাওয়াড়ি নয়, ওয়ার্ড ভিত্তিক করোনা জোন চিহ্নিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারে দেওয়া জোন বিভাজন অনুযায়ী, দিল্লির ১১ টি জেলাই রেড জোনে। সারা দেশে রয়েছে মোট ১৩০টি রেড জোন।
দিল্লি সরকারের পদস্থ কর্তাদের মতে জেলা ভিত্তিক জোনিং অযৌক্তিক এত বড় শহরের জন্য। উদাহরণ হিসাবে উত্তর-পূর্ব দিল্লি জেলার কথা বলছেন তারা। এটি দেশের সবচেয়ে জনঘনত্বপূর্ণ জেলা, ৫৬ বর্গ কিলোমিটারের ওপর বিস্তৃত। এখানে কয়েকটা করোনার ক্লাস্টার আছে বলে পুরো জেলাকে করোনা রেড জোন করা উচিত নয়, বলেই পদস্থ কর্তাদের দাবি। কেন্দ্রের দিল্লিকে একটু ছাড় দেওয়া উচিত, তাদের করুণ আকুতি।
এই মাপকাঠি অনুযায়ী চললে, বহু মাস লাগবে দিল্লিকে রেড জোন থেকে বেরোতে, এটাই চিন্তা রাজ্য সরকারের। এর থেকে স্থানীয় লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ওয়ার্ডভিত্তিক হিসাবে, দাবি কর্তাদের।রেড জোনের জন্য প্রাথমিক ভাবে যে মাপকাঠি নেওয়া হয়েছিল, সেটিও বদল করা হয়েছে। এখন সম্ভাব্য হটস্পটদেরও রেড জোনে পাঠানো হয়েছে। অর্থাত্ কোনও জায়গা গ্রিন বা অরেঞ্জ জোনে আছে কিন্তু নিকটবর্তী স্থানে কেস লোড খুব বেশি থাকলে, ঝুঁকি না নিয়ে পুরো এরিয়াকেই রেড জোন করে দেওয়া হচ্ছে।