দিল্লি মেট্রোর কোচের একটি বিজ্ঞাপনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। বিজ্ঞাপনটি কন্ডোমের। ভাইরাল হওয়ার কারণ হল, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ঠিক উপরেই এই বিজ্ঞাপন সাঁটানো হয়েছে। ছবিতে খুব ঘনিষ্ঠ ভঙ্গিতে যুগল। এমন পরিস্থিতিতে এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। কেউ কেউ এর জন্য ডিএমআরসি (দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন)-এর সমালোচনা করছেন। আবার কারও কারও মতে, এতে কোনও ভুল নেই।
এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'মেট্রো এই বিজ্ঞাপনে ভর্তি। এটি নিত্যযাত্রীদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।' অপর এক ব্যবহারকারী আবার লিখেছেন, 'এতে লজ্জার কিছু নেই। যে কোনও কিছু বিশ্লেষণ করার সবসময় দু'টি আলাদা দিক থাকে।'
একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'এতে লজ্জার কী আছে... আগে তো সরকারি রেডিয়ো এবং দূরদর্শনেও এই ধরনের বিজ্ঞাপন ছিল। আজকাল বাড়ির ড্রয়িংরুমে লাগানো টিভিতেও ১৫-২০ সেকেন্ডের এই ধরনের উস্কানিমূলক বিজ্ঞাপন চালানো হয়। তাহলে এখানে কেন বিব্রত বোধ করছেন?'
অপর একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'এটা বিব্রতকর হতে যাবে কেন? এটা তো সামাজিক সচেতনতামূলক। আপনার নিউড ফটোগ্রাফি এবং পর্নোগ্রাফিতে তো কিছু মনে হয় না। জনসাধারণের কাছে কন্ডোম বিব্রতকর? আমি তো এটা সমর্থন করি।'
ডিএমআরসিকে প্রশ্ন করে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'শুধু টাকা আয়ের কথা ভেবেই সবকিছু করা উচিত নয়। সমাজের প্রতি আপনাদেরও একটা দায়িত্ব আছে। টাকার ঊর্ধ্বে সেটা দেখা ও পালন করা উচিত।'
আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'ওরা কি শুধু অর্থই উপার্জন করতে চায়? নারীদের সম্মান বলে কি কিছু নেই? মেট্রোর কোনও কর্তা বা কর্মচারী কি তাঁর বাড়ির ভিতরে বা বাইরে এই বিজ্ঞাপনটি লাগাতে দেবেন?'
দিল্লি মেট্রো রেলের তরফে ওই যাত্রীর কোচের নম্বর জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে রিপ্লাই করা হয়েছে।
আপনার এ বিষয়ে কী মতামত?