সংস্কারের কাজ চলবে। আর তার জন্য আগামী ছয় মাস বন্ধ থাকবে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ২ নম্বর টার্মিনাল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী চার থেকে ছয় মাস ওই টার্মিনাল বন্ধ থাকবে। দিল্লি বিমানবন্দরের ১ এবং ২ টার্মিনাল দিয়ে ঘরোয়া বিমানগুলি ওঠা নামা করে থাকে। ২ নম্বর টার্মিনাল বন্ধ থাকার জেরে ১ নম্বর টার্মিনাল দিয়েই বিমান ওঠা নামা করবে বলে জানা গিয়েছে। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কথায়, এটার জন্য যাত্রী পরিষেবায় তাদের কোন সমস্যা হবে না।
এদিকে দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (ডায়াল) জানিয়ে দিয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে (২০২৫–২৬) টার্মিনাল মেরামতির কাজ শুরু হবে। তার জেরেই বন্ধ থাকবে টার্মিনাল ২। প্রায় ৪০ বছর পুরনো ওই টার্নিনালের সংস্কারের প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। তাঁরা জানিয়েছেন, আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে নতুন করে সাজানো হবে ২ নম্বর টার্মিনাল। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা দিল্লি বিমানবন্দরে তিনটি টার্মিনাল আছে। টার্মিনাল ১, ২ এবং ৩। এখানে ১ এবং ২ নম্বর টার্মিনাল দিয়ে অন্তর্দেশীয় বিমান ওঠানামা করে থাকে। টার্মিনাল ৩ সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘দেশের আত্মাকে বাঁচাতে ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়’, অন্যান্য নেতাদের জবাব দিলেন মণীশ
অন্যদিকে বিমানবন্দর সূত্রে খবর, প্রায় চার দশক পুরনো এই ২ নম্বর টার্মিনাল। আর সেটারই মেরামতির জন্য আগামী অর্থবর্ষে চার থেকে ছ’মাস বন্ধ রাখা হবে। তবে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের মধ্যেই এই মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তার জেরে পরিষেবা সামান্য বিঘ্নিত হতে পারে। যা আগামী দিনে যাত্রী পরিষেবার ক্ষেত্রে ব্যাপক লাভদায়ক হবে। এই মেরামতির কাজ শেষ হলে যাত্রীরাও যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। যা এককথায় অনবদ্য। সেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি বাড়তি পরিষেবার ব্যবস্থা করা হবে। যার ফলে সময় কম লাগবে বিমান ধরতে।
এছাড়া বিমানবন্দর সূত্রে খবর, টার্মিনাল ১–এর উপর বাড়তি চাপ পড়বে। যেহেতু বন্ধ থাকবে ২ নম্বর টার্মিনাল। যদিও পরিষেবা মসৃণ রাখতে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, ২ নম্বর টার্মিনাল ৪০ বছর আগে গড়ে উঠেছিল। তাই এই পুরনো টার্মিনালকে অত্যাধুনিক পর্যায়ে উন্নীত করতে মেরামতির প্রয়োজন। সে জন্যই ওই টার্মিনাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাত্রী চাহিদার বিষয়টি ভেবে রেখে বিমানবন্দরের ধারণ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করার প্রস্তুতি চলছে। এই বিষয়ে ডায়াল–এর সিইও বিদেশিকুমার জয়পুরিয়া বলেন, ‘এই মেরামতির প্রয়োজন আছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্যই কিছু সংস্কার করা হচ্ছে ২ নম্বর টার্মিনালে।’