দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পথে বিজেপি। ২৭ বছর পর ফের দিল্লিতে পদ্ম ফুটতে চলেছে। গত দু'বারে যে দল ডাবল ফিগারে যেতে পারেনি, তারাই এবারে অনায়াসে ম্যাজিক ফিগার পার করতে চলেছে। এই আবহে এবার কৌতুহল শুরু হয়েছে, কে হবেন দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? আর এই প্রশ্ন সামনে এলেই দিল্লির রাজনৈতিক মহলে যে কয়েকটা নাম ঘুরঘুর করছে, তার একটি হল রমেশ বিধুরী। এই আবহে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন রমেশ। রমেশ বিধুরী নিজে কালকাজি আসন থেকে লড়ছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশীর বিরুদ্ধে। তবে তিনি জিততে পারেননি। (আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো 'বিপ্লবীদের' মারধর স্থানীয়দের, জখম ১৫)
আরও পড়ুন: মদের ইস্যুতে ভেসে গেলেন কেজরিওয়াল? AAP নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য আন্না হাজারের
আরও পড়ুন: 'জবাবি শুল্ক' আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, প্রভাব পড়বে ভারতের ওপরও? জোর জল্পনা
এই আবহে রমেশ বিধুরী বললেন, 'আমি ব্যক্তিগত লাভ বা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য এই লড়াইতে ছিলাম না। বরং সত্যিকারের মানুষের সেবা করার জন্য এই লড়াইতে ছিলাম। উন্নয়নের জন্য জনগণের আকাঙ্ক্ষার কারণেই এই জয় এসেছে। গত এক দশক ধরে আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে উন্নয়নের অভাব ছিল দিল্লিতে। গোটা দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, দিল্লিও তা চায়। কেজরিওয়াল ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে এতদিন ধরে জিতেছে।' পরে আবার বিধুরী বলেন, 'অরবিন্দ কেজরিওয়াল আমাদের সৈন্য এবং প্রধানমন্ত্রীর জন্য মাওয়ালি ভাষা ব্যবহার করেছেন। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়েছেন। এটা দেশবিরোধীদের মানসিকতা। তিনি একজন আরবান নকশাল।' (আরও পড়ুন: চলছে 'অপারেশন ক্লিন', কেরলে গ্রেফতার বাংলাদেশি দশরথ এবং তাঁর 'বিবি')
আরও পড়ুন: ইউনুস বিরোধীদের সাথে ষড়যন্ত্র প্রাক্তন IGP-র? বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বলল…
উল্লেখ্য, বিগত একদশকে দিল্লির গদিতে ছিল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। ২০১৫ এবং ২০২০ সালের ভোটে তো কার্যত ঝাড় ঝড় তুলেছিল তারা। তবে ২০২৫ সালের নির্বাচনের আগে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল কেজরিকে। নিজে তিনি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। এর জন্যে তিনি জেলে পর্যন্ত গিয়েছেন। এর আগে দুর্নীতির দায়ে আপ হেভিওয়েট মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈনরা জেলে গিয়েছিলেন। যে আপ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে জন্ম নিয়েছিল, তারাই দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। এই আবহে এই নির্বাচনে পদ্মপাঁকে আটকে যায় ঝড় থেমেছে ঝাড়ুর। (আরও পড়ুন: মুজিবের বাড়ি ভাঙার পিছনে ইউনুস সরকারের বড় পরিকল্পনা? সন্দেহ বিএনপির)
উল্লেখ্য, বর্তমানে বিজেপি দিল্লির ৪৮টি আসনে এগিয়ে আছে, যা কি না ম্যাজিক ফিগারের থেকে ১২টি আসন বেশি। এদিকে আম আদমি পার্টি এগিয়ে ২২টি আসনে। কংগ্রেস এখনও শূন্যে দাঁড়িয়ে। আম আদমি পার্টির হেভিওয়েট নেতা - সৌরভ ভারদ্বাজ, সত্যেন্দ্র জৈনরা পিছিয়ে আছেন নিজেদের আসনে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে নয়াদিল্লি আসন থেকে পিছিয়ে আছেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের নির্বাচনে এই নয়াদিল্লি আসনেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে হারিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সেই আসনে তিনি নিজে পিছিয়ে। এই আবহে বিজেপি ২৭ বছর পর ফের একবার দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।