ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে নিজেকে একেবারে বিরাট ধনী পাত্র হিসাবে তুলে ধরেছিলেন এক যুবক। বড়লোক পাত্র হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন তিনি। আসলে এভাবেই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন তিনি। তাকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। তার বয়স ২৬ বছর।
ধৃতের নাম বিশাল । সে উত্তরপ্রদেশের মজফ্ফরনগরের বাসিন্দা। তিনি নিজেকে একেবারে ধনী, উপযুক্ত পাত্র হিসাবে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু গোটাটাই ছিল একেবারে ভুয়ো। এমনকী মহিলাদের মন জয় করার জন্য সে দামী গাড়িও ব্যবহার করত।
এমনকী তাদের আই ফোন দেওয়ার নাম করে সে মহিলাদের কাছ থেকে টাকাও হাতিয়েছে বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ সূ্ত্রে খবর, আসলে ওই যুবক শিক্ষিত। সেটি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পরে তিনি ব্যবসাও করেন। কিন্তু সেখানে ক্ষতির মুখে পড়ার পরে তিনি অন্য রাস্তায় টাকা আয়ের চেষ্টা শুরু করেন। এরপর তিনি মহিলাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে বড়লোক হওয়ার চেষ্টা করেন।
এদিকে সম্প্রতি এক মহিলার কাছ থেকে তিনি প্রায় ৩.০৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। পরে টাকা ফেরৎ না পেয়ে তিনি উত্তর পশ্চিম দিল্লির কেশবপুরম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণী গুরুগ্রামে একটি মাল্টি ন্যাশানাল কোম্পানিতে কাজ করতেন। তার অভিভাবকরা ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। এদিকে সেখানে তিনি দেখেন বিশালের বিজ্ঞাপনও রয়েছে। তিনি নাকি বছরে ৫০-৭০ লাখ টাকা আয় করেন।
এরপর বিশালের প্রোফাইল দেখে পছন্দ হয় তরুণীর বাবা মায়ের। এরপর তারা ফোন নম্বর দেওয়া নেওয়া করেন। তারপর হোয়াটস অ্য়াপে তাদের মধ্য়ে কথাবার্তা শুরু হয়।
তরুণী তার অভিযোগে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ওই যুবক একটি দামী গাড়ির ছবি তরুণীকে পাঠান। এমনকী গুরুগ্রামের কয়েকটি ফার্ম হাউজ ও বাড়ির ছবিও পাঠান। তরুণীর মন জয় করার জন্য় এসব করেন ওই যুবক। এমনকী গুরুগ্রামে তার ফুড চেইনের ব্যাবসা রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এভাবে তিনি তরুণীর মন জয় করেন। বিশ্বাস অর্জন করেন। এরপর দেখাও করেন। আই ফোন কেনার জন্য় তিনি টোপ দেন। আর তরুণী আট দফায় ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা পাঠান। এরপরই টাকা পেয়েই যুবক তার সোশ্য়াল অ্য়াকাউন্ট বন্ধ করে দেন। এরপর তিনি ফোনও বন্ধ করে দেন। তবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ওই প্রতারককে।