বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > উত্তাল রাজধানী- দিনভর হয়রানির পর খুলল রাজীব চক সহ ১৮টি মেট্রো স্টেশন

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আজও উত্তাল দিল্লি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমায়েতের চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীর। সেজন্য আগেভাগেই মাঠে নামে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি-গুরুগ্রাম সীমান্তে ব্যারিকেড করে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পাশাপাশি, দিল্লি মোট্রোর ২০টি স্টেশনও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। এর মধ্য ছিল রাজীব চক সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। সন্ধ্যা অবধি যদিও ১৮টি স্টেশন খুলে দেওয়া হয়। কিছুটা স্বস্তি পান ঘরমুখো নিত্যযাত্রীরা।


সকালের ব্যস্ত সময় দিল্লি-গুরুগ্রাম ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যারিকেড করায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছিল। একসঙ্গে একটির বেশি গাড়ি যেতে দেওয়া হচ্ছিলনা। তার জেরে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ গাড়ির লাইন পড়ে গিয়েছে। তারপরও কোনওরকম নমনীয় হতে নারাজ পুলিশ।

প্যাটেল চক, লোক কল্যাণ মার্গ, আইটিও, প্রগতি ময়দান, খান মার্কেট. লালকেল্লা, জামা মসজিদ, চাঁদনি চক, বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, উদ্যোগ ভবন, বড়াখাম্বা, দিল্লি গেট, জাসোলা বিহাগ শাহিন বাগ, বসন্ত বিহার, মান্ডি হাউস, জনপথ, রাজীব চক ও মুনিরকা স্টেশন বন্ধ ছিল। পরে জামিলা ও জাসোলা বিহাগ ছাড়া বাকিগুলি খুলে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর থেকে কমপক্ষে ১৫ বার স্টেশন বন্ধ করে দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেটাও ভিআইপিদের যাতাযাত বা অনুষ্ঠান বা কোনও নির্দিষ্ট ছুটির দিন ছাড়া। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের জেরে পুলিশের নির্দেশে গত পাঁচদিনও ৫-৬টি করে স্টেশন বন্ধ রাখছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, লালকেল্লা চত্বরেও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তা উপেক্ষা করেই অবশ্য বাম দলগুলির ডাকে সেখানে সকাল থেকে জমায়েত হন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের আটক করে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র অনিল মিত্তল জানিয়েছেন, মান্ডি হাউস থেকে যন্তর মন্তর পর্যন্ত বামেদের যে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে, তার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

বন্ধ করুন