প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে ‘নীতিগতভাবে’ অনুমোদন দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কোন পথে মিছিল যাবে, তা নিয়ে শনিবার চলল টানাপোড়েন। দিনের শেষে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হল, কোন পথে মিছিল যাবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
শনিবার দিল্লি পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাজ ইন্ডিয়ার নেতা যোগেন্দ্র যাদব দাবি করেন, প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘কৃষক গণতন্ত্র যাত্রা’-য় সামিল হবেন বিক্ষোভরত চাষিরা। রুট নিয়েও পুলিশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, গাজিপুর, সিংঘু, তিকরি, শাহজানপুর-সহ দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তের ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়া হবে এবং কৃষকরা দিল্লিতে প্রবেশ করবেন। সেই অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। প্রায় ১০০ কিলোমিটার মিছিলের পর কৃষকরা বিক্ষোভের জায়গায় ফিরে আসবেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে কোনওরকম প্রভাব পড়বে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে কোন রুট ধরে মিছিল এগোবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। রবিবার তা জনসমক্ষে জানানো হবে।
দিল্লি পুলিশের তরফে অবশ্য এখনও সরকারিভাবে জানানো হয়নি, কোন কোন শর্তে ট্র্যাক্টর মিছিলে ‘নীতিগতভাবে’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুলিশ-কৃষক বৈঠকের বিষয়ে অবহিত এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, ‘আপাতত নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের অঙ্গীকারপত্রে জানাতে হবে যে প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁরা নয়াদিল্লি এবং মধ্য দিল্লির এলাকায় প্রবেশ করবেন না। কৃষকরা যেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তার আশপাশেই থাকবে প্রস্তাবিত রুট। কিন্তু তা রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) মধ্যেই হবে। একইসঙ্গে কৃষকদের লিখিতভাবে জানাতে হবে যে কোনওরকমভাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিঘ্ন ঘটানো হবে না।’ সে বিষয়ে রবিবার আবারও আলোচনায় বসছে দিল্লি পুলিশ এবং কৃষক সংগঠনগুলি। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির রাজপথের কাছাকাছি মিছিল যেতে দেওয়া হবে না।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, অঙ্গীকারপত্রে কৃষকদের লিখিতভাবে জানাতে হবে যে মিছিলে কতগুলি ট্র্যাক্টর থাকবে, কখন মিছিল হবে, সেদিনের পরিকল্পনা-সহ যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। তারপর তা খুঁটিয়ে দেখে ‘লিখিত অনুমতি’ দেবে পুলিশ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ট্র্যাক্টর মিছিলের রুট নিয়ে কৃষকরা লিখিতভাবে কিছু জমা দেননি। তাঁদের কথায়, ‘আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রস্তাবিত ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে বিক্ষোভরত কৃষকরা যখন আমাদের লিখিতভাবে রুট জানাবেন, তখন আমরা সেটা খুঁটিয়ে দেখব এবং সিদ্ধান্ত নেব।’