ইন্টিলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশনের চার সদস্যের একটি দল বেঙ্গালুরুতে মহম্মদ জুবায়েরের বাড়িতে হানা দেয় বৃহস্পতিবার। সেখান থেকে জুবায়েরের ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, তদন্তে সহায়তা করছেন না জুবায়ের। এর আগে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছিল অল্ট নিউজ ওয়েবসাইটের সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ উঠেছে।
২০১৮ সালের একটি টুইটের প্রেক্ষিতে এই সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে ২০১৮ সালের টুইটে জুবায়ের লিখেছিলেন, ‘২০১৪ সালের আগে: হানিমুন হোটেল, ২০১৪ সালের পর হনুমান হোটেল।’ এই টুইটের প্রেক্ষিতে জুবায়েরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক টুইটার ব্যবহারকারী। অভিযোগকারীর অভিযোগ, হনুমানজি যেহেতু ব্রহ্মচারী, তাঁর সঙ্গে হানিমুন যুক্ত করে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। এই আবহে অভিযুক্তের ইলেকট্রনিক ডিভাইস চাইছে পুলিশ। তবে জুবায়ের নাকি পুলিশকে নিজের ডিভাইস দিতে অস্বীকার করেছেন।
সাংবাদিক জুবায়েরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ১৫৩-এ (ধর্ম, বর্ণ, জন্মস্থান, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা) এবং ২৯৫-এ (ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত কাজ) ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। জুবায়ের সোমবার তদন্তে যোগ দেন এবং পর্যাপ্ত প্রমাণ সংগ্রহের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, সাংবাদিক মহম্মদ জুবায়ের ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন নেতা নুপুর শর্মা এবং হরিয়ানায় সাধুদের 'সাম্প্রদায়িক বক্তব্যে'র ভিডিয়ো টুইট করে প্রচারে এসেছিলেন সাম্প্রতিককালে। এবার নিজেই সাম্প্রদায়িক টুইট করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন জুবায়ের।