শিউলি ফুটেছে। কাশফুলের ঝাড়ে দোলা লেগেছে। কিন্তু তবু এই বছরের দুর্গাপুজো হবে জৌলুসহীন। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লির পুজো উদ্যোক্তারা। আজ দিনটা কাটলেই পড়বে অক্টোবর মাস। আর অক্টোবর মাসের ১১ থেকে ১৫ তারিখ হবে দুর্গাপুজো। এবার সেখানে নিয়ম–আচার পালন হলেও থাকবে না বড় পুজোমণ্ডপ, আলোকসজ্জা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কারণ করোনাভাইরাসের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুর্গাপুজো পালন করা হবে। গত বছর পুজোমণ্ডপে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে এই বছর ততজন দর্শণার্থী প্রবেশ করতে পারবেন যতগুলি আসন থাকবে। আর কোনও ধরনের স্টল সেখানে করতে দেওয়া হবে না। এমনকী এই পুজো পালন করার জন্য একটি এসওপি ঠিক করে দেওয়া হবে। যা মানতে হবে পুজোমণ্ডপগুলিকে।
হাতে আর বেশি সময় নেই। তাই সেই এসওপি’র জন্য অপেক্ষা করছেন পুজো উদ্যোক্তারা। কী কী বিধি– নিষেধ থাকবে তা দেখা নিতে চাইছেন তাঁরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিমা বিসর্জন, মণ্ডপ, স্টল, ভিড় নিয়ন্ত্রণ–সহ নানা বিষয় এসওপি–তে কেমনভাবে থাকছে তা দেখতে চাইছেন তাঁরা। এই বিষয়ে নয়াদিল্লির মন্দির মার্গের কালী মন্দিরের আহ্বায়ক স্বপন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা সমস্থ বিধি–নিষেধ মেনে চলব। মানুষের সুরক্ষাই অগ্রাধিকার পাবে।’
উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছর পুলিশ এবং রেভিনিউ দফতর থেকে সাড়ে ৫০০ পুজোমণ্ডপকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হতো। এবার বেশিরভাগ পুজো খুব ছোট করে হচ্ছে অথবা কয়েকটি পুজো হচ্ছে না। এই বিষয়ে কাশ্মীরি গেটের দুর্গাপুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবীন বোস বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি এনওসি এবং অনুমোদনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে।’