বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Delhi Riots Case Hate Speech: ঘৃণামূলক ভাষণ: 'হাসিমুখে বললে অপরাধের প্রশ্ন নেই', বলল দিল্লি হাইকোর্ট

Delhi Riots Case Hate Speech: ঘৃণামূলক ভাষণ: 'হাসিমুখে বললে অপরাধের প্রশ্ন নেই', বলল দিল্লি হাইকোর্ট

ওই মামলায় বিদ্বেষমূলক ভাষণের অভিযোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং সাংসদ পরবেশ শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আর্জি জানানো হয়েছে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএনআই)

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, সেভাবে না এগোলে নির্বাচনের সময় সকল রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করতে হতে পারে।

হাসিমুখে কিছু বললে তাতে কোনও অপরাধের প্রশ্ন থাকে না। দিল্লি হিংসা সংক্রান্ত মামলায় এমনই মন্তব্য করল হাইকোর্ট। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে তা জানানো হয়েছে। হাইকোর্ট কী বলেছে, তা দেখে নিন -

1

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা সংক্রান্ত বিদ্বেষমূলক ভাষণের মামলায় শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, সাধারণ সময় যে ভাষণ দেওয়া হয়, তা নির্বাচনের সময় দেওযা ভাষণের তুলনায় আলাদা। কখনও কখনও উদ্দেশ্য ছাড়াই ‘মহল’ (আবহ) তৈরি করার জন্য ভাষণ দেওয়া হয়ে থাকে।

2

ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসিমুখে কিছু বললে তাতে কোনও অপরাধের বিষয় থাকে না। কিন্তু আক্রমণাত্মকভাবে কিছু বলা হলে তাতে অপরাধের বিষয়টি যোগ হতে পারে।

3

সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাটের দায়ের করা একটি মামলার শুনানি চলছিল। যে মামলায় বিদ্বেষমূলক ভাষণের অভিযোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং সাংসদ পরবেশ শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আর্জি জানানো হয়েছে। নিম্ন আদালতে সেই আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছিল। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।

4

ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাইকোর্ট বলেছে যে ‘সেগুলি কি নির্বাচনী ভাষণে বলা হয়েছে? এটা কি নির্বাচনী ভাষণ ছিল নাকি সাধারণ সময় বলা হয়েছে? যদি নির্বাচনের সময় কোনও ভাষণ দেওয়া হয়, তাহলে সেই বিষয়টি আলাদা। যদি সাধারণ সময় কেউ ভাষণ দিয়ে থাকেন, তাহলে তা কোনও কিছুর ক্ষেত্রে প্ররোচনা দিচ্ছে। নির্বাচনী ভাষণে রাজনীতিবিদরা রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্যে কত কিছু বলে থাকেন। সেটা অবশ্যই ভুল। কিন্তু আমায় সেই বিষয়টির অপরাধের দিকটি দেখতে হবে।’

5

ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, সেভাবে না এগোলে নির্বাচনের সময় সকল রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করতে হতে পারে। বিচারপতি বলেন, ‘আপনাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। নাহলে আমার মনে হয় যে নির্বাচনের সময় হাজার-হাজার মামলা দায়ের হয়ে যাবে।’

বন্ধ করুন