বড় ধাক্কা দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল মন্ত্রিসভায়। তাঁর মন্ত্রিসভার দুই গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও মণীশ সিসোদিয়া ইস্তফা দিলেন মন্ত্রিসভা থেকে। উল্লেখ্য, সদ্য দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে অবগারী নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এদিকে, আর্থিক তছরুপের আরও একটি মামলায় গ্রেফতার করেছে ইডি। তাঁরা দুজনেই এই মুহূর্তে ধৃত। আর তাঁদেরই ইস্তফা পত্র এবার এল।
উল্লেখ্য, সদ্য রবিবার যখন সিবিআইয়ের হেডকোয়ার্টারে জিজ্ঞাসাবাজের জন্য দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে ডাকা হয়েছিল, তখন বাইরে দাঁড়ানো সমর্থকদের উদ্দেশে মণীশ বলেছিলেন, তিনি জেল যেতে ভয় পান না। এদিকে, তার আগে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভার অপর মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন রয়েছেন জেলবন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। আচমকা দুই মন্ত্রীর এভাবে কেজরিওয়াল সরকারের হাত ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ২০২৪ লোকসভা ভোটের নিরিখে একটি বড় ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বর্তমানে দিল্লিতে ৩৩ টির মধ্যে ১৮ টি দফতরের প্রধানের ভূমিকায় রয়েছেন। তাঁকে আবগারী নীতি নিয়ে দুর্নীতি বিষয়ক ক্ষেত্রে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। আম আদমি পার্টি বর্তমানে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা এই ইস্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে। এর আগে মণীশ তাঁর জামিনের আবেদন দায়ের করেন হাইকোর্টের কাছে। তারপরই আমআদমি পার্টি ঠিক করে তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে মণীশের জামিনের আবেদন নিয়ে। এদিকে, সুুপ্রিম কোর্টে মণীশের জামিনের আবেদন ধাক্কা খেতেই আসে তাঁর কেজরিওয়াল সরকার ছাড়ার ইস্তফার খবর। (সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা মণীশ সিসোদিয়ার!খারিজ হল জামিনের আবেদন)
প্রশ্ন উঠছে, কেন আচমকা ধৃত এই দুই মন্ত্রী ইস্তফার রাস্তা বেছে নিলেন তা নিয়ে? উল্লেখ্য, সদ্য ভারতের রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছিল, মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতারের পরই কার্যত বিজেপি বিরোধী দলগুলি এককাট্টা হয়ে তার প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে। বাম, কংগ্রেস নেতারা নাম না করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হন। তারপরই এল দুই মন্ত্রীর ইস্তফার খবর।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup