ইনস্টাগ্রাম প্রাইভেট চ্যাটগ্রুপে সহপাঠী ছাত্রীদের সম্পর্কে যৌন উস্কানিমূলক আলোচনা এবং তাদের গণধর্ষণের পরিকল্পনা করার অভিযোগে গ্রুপের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর-সহ দুই নাবালককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই চ্যাটগ্রুপে প্রায়ই সহপাঠী স্কুলছাত্রীদের ছবি বিকৃত করে তাই নিয়ে যৌনতামূলক আড্ডা চলত এবং তাদের যৌন হেনস্থা করার নানান কৌশল ছকা হত। সম্প্রতি তেমনই এক আড্ডায় দুই স্কুলছাত্র তাদের এক সহপাঠী ছাত্রীকে ধর্ষণের জন্য দল গড়ার পরিকল্পনা করে। পরে সেই আড্ডার স্ক্রিনশট বহিরাগত কাউকে শেয়ার করে আড্ডাধারীদের একজন। সেখান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায় সাইবার ক্রাইম চক্রটি।
নিশানায় থাকা ছাত্রী আড্ডার স্ক্রিনশট নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার পুলিশে অবিযোগ দায়ের করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার জেরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই চ্যাটগ্রুপের ২২ জন সদস্যের অধিকাংশই দিল্লির অভিজাত চার স্কুলের পড়ুয়া। দলে দুই কলেজছাত্রও রয়েছেন।
চ্যাটগ্রুপের ১০ সদস্যকে জেরা করে পুলিশ দ্রুপ অ্যাডমিনের খোঁজ পায়। তার আগে গ্রুপের সদস্য এক ১৫ বছর বয়েসি ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে আপাতত জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। জেরা করা হচ্ছে দুই প্রাপ্রবয়স্ক কলেজপড়ুয়া সদস্যকেও।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রুপ সদস্যদের বেশিরভাগেরই দাবি, তারা কৌনও যৌনতামূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে না। আবার তাদের মধ্যে একজন অভিযুক্ত আড্ডার মধ্যে অপরাধমূলক কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়েছে।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত এপ্রিল মাসে ইনস্টাগ্রামে ‘বয়েজ লকার রুম’ নামে ওই চ্যাটগ্রুপটি খোলা হয়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপের কীর্তি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার কয়েক দিন পরেই অন্য নামে ফের ইনস্টাগ্রামে প্রাইভেট চ্যাটরুম খোলে পুরনো অ্যাডমিন ও তার সঙ্গীরা। এবার অভিযোগকারীদের চোখে ধুলো দিতে সদস্যদের মধ্যে কয়েক জন ছাত্রীর নামও যোগ করা হয়।
দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলের ডেপুটি কমিশপনার অন্বেষ রায় জানিয়েছেন, অভিযুক্ত গ্রুপ সদস্যদের বাড়ি হানা দিয়ে তাদের অনেকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও তারা এই নিয়ে আলোচনা করেচে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জুভেনাইল আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার এই ঘটনার জেরে দিল্লি পুলিশ ও ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছে দিল্লি নারী কমিশন। কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, ‘লকডাউন হোক আর যাই-ই হোক, এমন ছেলেদের রেহাই দেওয়া হবে না।’
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মনোবিদরাও।
ইনস্টাগ্রাম প্রাইভেট চ্যাটগ্রুপে সহপাঠী ছাত্রীদের সম্পর্কে যৌন উস্কানিমূলক আলোচনা এবং তাদের গণধর্ষণের পরিকল্পনা করার অভিযোগে গ্রুপের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর-সহ দুই নাবালককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই চ্যাটগ্রুপে প্রায়ই সহপাঠী স্কুলছাত্রীদের ছবি বিকৃত করে তাই নিয়ে যৌনতামূলক আড্ডা চলত এবং তাদের যৌন হেনস্থা করার নানান কৌশল ছকা হত। সম্প্রতি তেমনই এক আড্ডায় দুই স্কুলছাত্র তাদের এক সহপাঠী ছাত্রীকে ধর্ষণের জন্য দল গড়ার পরিকল্পনা করে। পরে সেই আড্ডার স্ক্রিনশট বহিরাগত কাউকে শেয়ার করে আড্ডাধারীদের একজন। সেখান থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায় সাইবার ক্রাইম চক্রটি।
নিশানায় থাকা ছাত্রী আড্ডার স্ক্রিনশট নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার পুলিশে অবিযোগ দায়ের করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার জেরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই চ্যাটগ্রুপের ২২ জন সদস্যের অধিকাংশই দিল্লির অভিজাত চার স্কুলের পড়ুয়া। দলে দুই কলেজছাত্রও রয়েছেন।
চ্যাটগ্রুপের ১০ সদস্যকে জেরা করে পুলিশ দ্রুপ অ্যাডমিনের খোঁজ পায়। তার আগে গ্রুপের সদস্য এক ১৫ বছর বয়েসি ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে আপাতত জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। জেরা করা হচ্ছে দুই প্রাপ্রবয়স্ক কলেজপড়ুয়া সদস্যকেও।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রুপ সদস্যদের বেশিরভাগেরই দাবি, তারা কৌনও যৌনতামূলক আলোচনায় অংশগ্রহণ করে না। আবার তাদের মধ্যে একজন অভিযুক্ত আড্ডার মধ্যে অপরাধমূলক কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়েছে।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত এপ্রিল মাসে ইনস্টাগ্রামে ‘বয়েজ লকার রুম’ নামে ওই চ্যাটগ্রুপটি খোলা হয়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপের কীর্তি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার কয়েক দিন পরেই অন্য নামে ফের ইনস্টাগ্রামে প্রাইভেট চ্যাটরুম খোলে পুরনো অ্যাডমিন ও তার সঙ্গীরা। এবার অভিযোগকারীদের চোখে ধুলো দিতে সদস্যদের মধ্যে কয়েক জন ছাত্রীর নামও যোগ করা হয়।
দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলের ডেপুটি কমিশপনার অন্বেষ রায় জানিয়েছেন, অভিযুক্ত গ্রুপ সদস্যদের বাড়ি হানা দিয়ে তাদের অনেকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও তারা এই নিয়ে আলোচনা করেচে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জুভেনাইল আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার এই ঘটনার জেরে দিল্লি পুলিশ ও ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষকে নোটিশ পাঠিয়েছে দিল্লি নারী কমিশন। কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, ‘লকডাউন হোক আর যাই-ই হোক, এমন ছেলেদের রেহাই দেওয়া হবে না।’
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মনোবিদরাও।