দিল্লিতে দৈনিক ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রকে। সেইসঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যাপারে স্বচ্ছতাও বজায় রাখতে হবে। বুধবার এই কথাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রকে দেওয়াদিল্লি হাইকোর্টের শোকজ নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেখানেই শীর্ষ আদালত তার পুরনো রায়ের প্রসঙ্গকে উল্লেখ করেই জানিয়ে দিল, কেন্দ্রকে দৈনিক ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতেই হবে।
বুধবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, প্রতিদিন সকাল, বিকেল ও সন্ধ্যায় যদি কেন্দ্র অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহ করে, তাহলে এই বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় থাকে। কেন্দ্রের তো ভার্চুয়াল কন্ট্রোল রুম আছে। সেটাকে ব্যবহার করা যায়। প্রতিটি নাগরিকদের জানার অধিকার রয়েছে, প্রতিদিন কত পরিমাণে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলিও জানতে পারবে, তারা কত পরিমাণে অক্সিজেন পাবেন।একইসঙ্গে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জানান, সোমবারের মধ্যে আদালতকে জানানো হোক দিল্লিতে দৈনিক ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেনের জোগান দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিন আদালতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, কেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল দিল্লি হাইকোর্টকে বলেছেন যে সুপ্রিম কোর্ট ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহের নির্দেশ দেয়নি। এই প্রসঙ্গে অবশ্য কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, দিল্লি সরকারের তরফে যে ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহের কথা বলা হয়েছে, তা কোনও বাস্তব ভিত্তি পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে অবশ্য কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, দিল্লিকে যাতে ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়, সে বিষয়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মঙ্গলবার ৫৮৫ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ হয়েছে।অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে কেন্দ্রের এই যুক্তি মানতে চায়নি শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের মতে, দিল্লিতে বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে কী হবে। তার থেকেও জানার প্রয়োজন, করোনা মোকাবিলায় এই কদিনে কেন্দ্র কী করেছে।