নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের মধ্যে ১৪ জনই মহিলা। তাঁদেরই একজন ছিলেন সঞ্জয় নামক এক রেলযাত্রীর ছোট বোন। পরিবারের ১২ জন মিলে সঞ্জয়রা প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে যচ্ছিলেন। তবে স্টেশনের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় সঞ্জয়ের বোনের। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে সেই সময় কোনও পুলিশ ছিল না। এমনকী রেললাইন পার করে স্টেশনের বাইরে বোনের দেহ নিয়ে আসতে হয় বলে অভিযোগ করেন সঞ্জয়। সরকারের কাছে তিনি আবেদন করেন, আমাদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা যেন আর কারও সাথে না হয়। (আরও পড়ুন: নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ল, ঘটনার পর কী করল রেল?)
আরও পড়ুন: পদপিষ্ট কাণ্ডে প্রশাসনের ভূমিকা… মুখ খুললেন প্রত্যক্ষদর্শী IAF সারজেন্ট
বার্তাসংস্থা এএনআইকে সঞ্জয় বলেন, 'আমরা ১২ জন একসঙ্গে মহাকুম্ভে যাচ্ছিলাম। রাত ১০টা ১০ মিনিটের ট্রেন প্রয়াগ এক্সপ্রেসে আমাদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত পৌঁছতেই পারলাম না। আমরা যখন ব্রিজে করে নামছিলাম, পিছন থেকে ভিড়ের চাপ আসে। তখন সামনের অনেকেই পড়ে যান। এর জেরে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন অনেকে। আমার বোন সমেত পরিবার সেই ভিড়ের চাপে আটকে পড়েছিল। এর প্রায় আধঘণ্টা পরে আমি আমার বোনকে খুঁজে পাই। ততক্ষণে সে মারা গিয়েছে। ভিড় খুব বেশি ছিল। তাতেই চাপা পড়ে গেছিল ও।' (আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফায় মার্কিন বিমানে ভারতে ফিরলেন ১১৯ জন অবৈধবাসী, কোন রাজ্যের কতজন এলেন?)
সদ্য বোন হারানো সঞ্জয় নিজের অভিজ্ঞতার বিষয়ে বলেন, 'আমি সিঁড়ি দিয়ে আগে নেমে পড়েছিলাম। তবে আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, আমার ছোট মেয়েরা ওপরে আটকে পড়েছিল। ওদের আমি সেই ভিড় থেকে ছাড়িয়ে আনি। তবে আার বোনকে আমি আধাঘণ্টা পরে খুঁজে পাই। ততক্ষণে ও আর বেঁচে নেই। তাও আমরা চেষ্টা করেছিলাম সিপিআর দিয়ে এবং ওর স্বামী মাউথ টু মাউথ দিয়েছিলেন। এক ঘণ্টা আমরা এই ভাবে চেষ্টা করি। ততক্ষণে কেউ আসেনি। আমরা রেললাইন পার করে পরে স্টেশন থেকে বের হই। ওখানে প্রশাসনের কেউ ছিল না। কোনও পুলিশ ছিল না। এখন সরাকরের কাছে আবেদন, আমাদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা যেন অন্য কারও সাথে না ঘটে আর। আমরা জানতে পেরেছি যে আহতদের নাকি ১ লাখ টাকা করে দেবে। তবে মৃতের পরিবারকে কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানি না।'