বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Delhi University: কবি ইকবালের নাম বাদ যাচ্ছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যায়ের সিলেবাস থেকে, লিখেছিলেন সারে জাঁহাসে আচ্ছা

Delhi University: কবি ইকবালের নাম বাদ যাচ্ছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যায়ের সিলেবাস থেকে, লিখেছিলেন সারে জাঁহাসে আচ্ছা

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় (File Photo) (HT_PRINT)

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবিভিপির দিল্লি ইউনিট। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাস থেকে কবি মহম্মদ ইকবালের প্রসঙ্গটি বাদ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে নিয়েছে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল।

সাদিয়া আখতার

সারে জাঁহাসে আচ্ছা, হিন্দুস্তা হমারা।সেই গানের রচয়িতার নাম এবার মুছে যেতে চলেছে দিল্লি ইউনিভার্সিটির সিলেবাস থেকে। ঠিক কী হয়েছে ব্যাপারটি?

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্য়াকাডেমিক কাউন্সিল সিলেবাস সংস্কারে নেমেছে। আর তারই অঙ্গ হিসাবে এবার বড় রদবদলের দিকে এগোচ্ছে তারা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিএর সিলেবাস থেকে কবি মহম্মদ ইকবালের প্রসঙ্গটাও বাদ দেওয়া হচ্ছে।

এখানেই শেষ নয় কাউন্সিল এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্টিশন স্টাডি, হিন্দু স্টাডিজ ও ট্রাইবাল স্টাডিজের নয়া সেন্টার তৈরির প্রস্তাবেরও অনুমোদন করেছে। এবার দেখে নেওয়া যাক কবি মহম্মদ ইকবালের সংক্ষিপ্ত পরিচয়। এই কবিই রচনা করেছিলেন সেই গান, সারে জাঁহাসে আচ্ছা, হিন্দুস্তা হমারা। তবে তিনিই নাকি পাকিস্তানের ভাবনার পেছনে ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের জাতীয় কবিও ছিলেন।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, সিলেবাসের নানা দিক ও সেন্টার তৈরির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সেন্টারস ফর পার্টিশন, হিন্দু ও ট্রাইবাল স্টাডিজ তৈরির প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিলেবাস থেকে মহম্মদ ইকবালের প্রসঙ্গ বাদ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে মহম্মদ ইকবালের প্রসঙ্গটি পলিটিকাল সায়েন্সের সিলেবাসের মধ্যে ছিল। 'Modern Indian Political thought' এই অংশের মধ্য়ে কবির প্রসঙ্গ ছিল।

তবে আগামী ৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির মিটিং রয়েছে।সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললেই প্রস্তাবটি কার্যকরী হয়ে যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবিভিপির দিল্লি ইউনিট। তারা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সিলেবাস থেকে কবি মহম্মদ ইকবালের প্রসঙ্গটি বাদ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তে নিয়েছে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ফিলোজফিকাল ফাদার। মুসলিম লিগের নেতা হিসাবে জিন্নাহকে নিয়ে আসার পেছনে মূল যিনি ছিলেন তিনি মহম্মদ ইকবাল। মহম্মদ আলি জিন্নাহর মতো তিনিও দেশভাগের পেছনে ছিলেন।

তবে সূত্রের খবর, পার্টিশন স্টাডিজ নিয়ে প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন অন্তত ৫জন কাউন্সিল মেম্বার। তাঁদের মতে এটা বিভাজনকে উৎসাহ দেবে। সেই পাঁচ সদস্য বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এটা সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে উসকানি দেবে। তবে এবার ইসি কী মতামত দেয় সেটাই দেখার।

 

বন্ধ করুন