জাহাঙ্গীরপুরীর হিংসায় গ্রেফতার করা হল ১৪ জনকে। শনিবারের ঘটনায় দিল্লি পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ১৪৭ (দাঙ্গা) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং অস্ত্র আইনের অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি গুলি জাহাঙ্গীরপুরীতে হিংসা চলাকালীন গুলি চালায় তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার নাম মহম্মদ আসলাম, বয়স ২১ বছর।
জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে। ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ ক চলেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের তরফে বলা হচ্ছে যে মুসলিমরা পাথর ছুড়েছিল মিছিলে। এদিকে এলাকার স্থানীয় মুসলিমদের দাবি, মিছিলে থাকা হিন্দুরা নাকি উস্কানিমূলক স্লোগান তুলে হিংসায় প্ররোচণা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুই তরফের থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু ভিডিয়ো প্রকাশ করে বিভিন্ন দাবি করা হয়েছে। সেগুলির অনেক কটাই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এদিকে দুই পক্ষেরই অধিকাংশ মানুষের দাবি, ‘বহিরাগতদের’ মদতেই এই হিংসার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাস্তায় নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কয়েকশো পুলিশ আধিকারিকরা নিজেরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। পুলিশ কমিশনার ও স্পেশাল কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ নিজে। আজকে সকাল হতেই উত্তর-পশ্চিম দিল্লির সাংসদ হংসরাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। তিনি বলেন, ‘আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি; আমি নিজে গিয়ে পরিস্থিতি দেখতে চাই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জেগে ছিলেন, প্রতি মিনিটের খবর রাখছেন তিনিও।’