অনিশা দত্ত
এখনই ভারতে আসছে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান’ বিমান। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ‘কার্যক্ষম সংক্রান্ত সমস্যা’-র জেরে বিশেষভাবে তৈরি সেই বোয়িং ৭৭৭-৩৩০ ইআর বিমানের ভারত আগমনে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
নাম গোপন রাখার শর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, ‘কার্যক্ষম সংক্রান্ত কয়েকটি সমস্যার কারণে বিমানের আগমন পিছিয়ে গিয়েছে। যা ২৫ অগস্ট (মঙ্গলবার) হাতে পৌঁছানোর কথা ছিল। এখন তা হাতে আসতে আরও দু'তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।’
দ্বিতীয় আধিকারিক জানিয়েছেন, বিমানটি দেশে আনার জন্য ইতিমধ্যে ভারতীয় বায়ুসেনা এবং এয়ার ইন্ডিয়ার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল পাঠিয়েছে কেন্দ্র। সেই দলটি অত্যাধুনিক বিমানের যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় খুঁটিয়ে দেখবে। বিষয়টি নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।' বোয়িং ইন্ডিয়ার মুখপাত্রও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতির ব্যবহারের জন্য বিমান দুটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। আর সেই বিমানের বিশেষত্ব লুকিয়ে আছে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়। বিশেষ বিমানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের নিজস্ব 'মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম' আছে। যা 'লার্জ এয়ারক্রাফ্ট ইনফ্রারেড কাউন্টারমেজার্স' (এলএআইআরসিএম) নামেও পরিচিত। বিমানে রয়েছে সেল্ফ প্রোটেকশন স্যুট (এসপিএস)। নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিচারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমানকেও টক্কর দেবে মোদীর নয়া বাহন।
একইসঙ্গে বিমানে বড়সড় অফিস থাকছে। বৈঠকের জন্য ঘর, বিভিন্ন কমিউনিকেশন সিস্টেমের পাশাপাশি স্বাস্থ্যজনিত জরুরি অবস্থা সামলানোর জন্য আছে একটি আলাদা অংশ। শুধু তাই নয়, তেল ভরার জন্য কোথাও না দাঁড়িয়েই ভারত থেকে আমেরিকা সরাসরি উড়ে যেতে পারবে বিমানটি। বিশেষভাবে তৈরি দুটি বিমানের গায়ে ‘ভারত’ এবং ‘ইন্ডিয়া’ লেখা থাকবে। একইসঙ্গে থাকবে অশোক স্তম্ভও।