করোনার ডেল্টা স্ট্রেন ইতিমধ্যেই ভারতে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার নেপথ্যে মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানির মাঝেই আত্মপ্রকাশ ঘটিছে ডেল্টা প্লাস স্ট্রেন। যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং কেন্দ্র। দেশের মহারাষ্ট্রের জলগাওঁ এবং রত্নাগিরিতে ইতিমধ্যেই ডেল্টা প্লাস স্ট্রেনে আক্রান্ত বেশ কয়েকজনের খোঁজ মিলেছে। এই আবহে মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে যে এই দুই স্ট্রেনের বিরুদ্ধে সবথেকে কার্যকর টিকা কোনটি? ভারতে ইতিমধ্যেই তিনটি টিকার প্রয়োগ চলছে। পাশাপাশি ফাইজারের টিকাও কয়েকদিনের মধ্যে সবুজ সংকেত পাবে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে দেখুন কোন টিকা কতটা কার্যকর এই নয়া স্ট্রেনের বিরুদ্ধে :
কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড
ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন এবং সেরামের কোভিশিল্ড ডেল্টা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকর বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। তবে এই দুই টিকা এখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কী পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম, তা জানা যায়নি। তা নিয়ে গবেষণা চলছে। তথ্য মিললেই তা প্রকাশ করা হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাদেশ ভূষণ।
স্পুটনিক ভি
রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিনকে সম্প্রতি সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। অ্যাপোলো হাসপাতালে এই টিকা মিলছে। এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে এই টিকার প্রস্তুতকারক সংস্থা গামালেয়া সেন্টারের প্রধান অ্যালেক্স্যান্ডার গিন্টুসবার্গ বলেন, 'এখনও পর্যন্ত টিকার যতগুলি ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে, সেই সব স্ট্রেনের উপরই কার্যকর স্পুটনিক। স্পুটনিক প্রয়োগের ফলে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা এই সব স্ট্রেনকে রুখে দিতে সক্ষম, তা সে ব্রিটেনে মেলা করোনা স্ট্রেন হোক বা ভারতে মেলা ডেল্টা স্ট্রেন।' এদিকে স্পুটনিকের দুটি ডোজের পর একটি তৃতীয় বুস্টারের পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানান সংস্থার প্রধান।
ফাইজার
ডেল্টা স্ট্রেনের উপর কিছুটা কার্যকর হলেও এই ভ্যারিয়েন্টের উপর ফাইজারের টিকার সার্বিক কার্যকারিতার হার কিছুটা কম বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এই টিকা ডেল্টা স্ট্রেনের সংক্রমণের জেরে হাসপাতালে যাওয়া থেকে আটকাবে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি ব্রিটেনের এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজারের টিকা ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতাল যাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছতে দেবে না। অর্থাত্, সংক্রমণের গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছানো আটকাতে সক্ষম এই টিকা।