প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের অস্বাভাবিক মৃত্যু কার্যত একাধিক প্রশ্নকে তুলে দিয়েছে। এদিকে অতুল সুভাষের পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পান তার জন্য দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাস্তায় রাহুল গান্ধীর কনভয়ের পেছনে বেশ কিছুটা গিয়ে রাহুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে রাহুল গান্ধী বিষয়টি দেখেন। এরপর তিনি চকোলেট ছুঁড়ে তাঁর জবাব দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর। ৩৪ বছর বয়সি অতুল সুভাষের মৃত্যু হয়। তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এদিকে একটি সুইসাইড নোটও মিলেছিল। সেখানে অতুল তাঁর মৃত্যুর জন্য তাঁর স্ত্রী সহ অন্যান্য কয়েকজনকে দায়ী করেছিলেন। ৮০ মিনিটের একটি ভিডিয়ো। ২৪ পাতার একটা সুইসাইড নোট।এরপর আত্মহত্যা করেছিলেন অতুল সুভাষ। অতুলের অভিযোগ ছিল তাঁর স্ত্রী একাধিক মামলায় তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকী ছেলের সঙ্গেও দেখা করতে দিতেন না।
এদিকে আইনজীবী দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, কোনও সাংসদ এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে কিছু বলছেন না। ভারতের অনেক পুরুষকেই এই ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যখন দিল্লিতে আমরা একটি শোকসভায় যাচ্ছিলাম তখনই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হাইওয়েতে দেখা হল। আমরা তাঁর কাছে ন্যায় বিচারের কথা বলছিলাম। আমরা রাহুলকে একথা জানিয়েছিলাম। তবে আমরা বুঝতে পারিনি তিনি এনিয়ে গুরুত্ব দিলেন নাকি দিলেন না। কিন্তু একটা আশা আছে যে কেউ হয়তো সংসদে গোটা ঘটনার কথা তুলবেন।
বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ অতুল সুভাষের অস্বাভাবিক মৃত্যু ও তাঁর সুইসাইড নোটকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তিনি সেই নোটে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ তুলেছেন। কীভাবে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল সেকথা তিনি উল্লেখ করেছিলেন।
বিভিন্ন মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছে ওই সুইসাইড নোটের ছত্রে ছত্রে রয়েছে অতুলের স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ। জৌনপুরের পারিবারিক আদালতের এক বিচারপতির বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই ডেথ নোটে একাধিকবার লেখা হয়েছে, ন্যায় বিচার এখনও পেলাম না। এমনকী বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর চিতাভষ্ম যাতে জলে ভাসানো না হয় সেটাও রয়েছে ওই নোটে।
এদিকে মৃত্যুর আগে একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন ঠিক কী ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হত তাঁকে। আর তার পরিণতিতেই তিনি এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। তিনি বার বার তাঁর স্ত্রী ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের উপর একাধিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন।