পয়লা মে থেকে চলছে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন। প্রথম দিকে ট্রেনের জন্য চাহিদা তুঙ্গে থাকলেও ধীরে ধীরে তা কমছে। এর থেকে রেলমন্ত্রকের অনুমান, যে সব পরিযায়ীরা বাড়ি ফিরতে ইচ্ছুক, তারা প্রায় সবাই চলে গিয়েছেন। খুব বেশিদিন আর এই বিশেষ ট্রেন চালাতে হবে না বলেই মন্ত্রকের হিসাব। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে ট্রেন না নেওয়ার অভিযোগ উঠলেও গন্তব্য রাজ্যের মধ্যে প্রথম পাঁচে উঠে এসেছে বাংলা।
এখনও পর্যন্ত ৪১৫৫ ট্রেনে চড়ে ৫৭ লক্ষ পরিযায়ী বাড়ি ফিরেছেন। পীযূষ গোয়েল বলেছেন যে যতদিন দাবি থাকবে ট্রেনের, সেটি চলবে। রবিবার মাত্র ৬৯টি ট্রেন চলেছে। তারপরেও খুব বাড়েনি ট্রেনের সংখ্যা গত দুই দিনে।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেলমন্ত্রক কর্তা জানিয়েছেন খুব দ্রুতই হয়তো এই ট্রেনের আর প্রয়োজন পড়বে না।
সোমবার অবধি অতিরিক্ত আরও ৩২১টি ট্রেনের অনুরোধ এসেছে। ২৯ মে রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান এই মর্মে চিঠি লেখেন যে এখনও কোনও রাজ্যের যদি ট্রেন লাগে, তাহলে তারা যেন অনুরোধ পাঠায়। পশ্চিমবঙ্গ ট্রেন নিচ্ছে না, এই অভিযোগ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন অমিত শাহ। পীযূষ গোয়েলও বারবার বলেন ট্রেন না নিয়ে নিজেদের দায় ঝাড়তে চাইছে রাজ্য। পরিসংখ্যান যদিও একটু অন্য কথা বলছে। গন্তব্য রাজ্যের তালিকায় পাঁচ নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ।
দেখা যাচ্ছে গন্তব্য রাজ্যের তালিকায় প্রথম পাঁচটি রাজ্য হল উত্তর প্রদেশ ( ১৬৭০ ট্রেন), বিহার ( ১৪৮২), ঝাড়খণ্ড (১৯৪), ওড়িশা (১৮০) ও বাংলা ( ১৩৫)।
গন্তব্য রাজ্য হল যেখানে গিয়ে থেমেছে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন। যেসব রাজ্য থেকে ট্রেন চালু হয়েছে তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে গুজরাত (১০২৭), মহারাষ্ট্র (৮০২), পঞ্জাব (৪১৬), উত্তরপ্রদেশ (২৮৮) ও বিহার (২৯৪)।
অনেক ট্রেন পথ ভুল করে অন্যদিকে চলে গিয়েছিল, এমন অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে রেল। মন্ত্রকের দাবি, ট্র্যাকে যানজট থাকায় কিছু ট্রেন তাদের গন্তব্যস্থল থেকে ডাইভার্ট করা হয়। মোট ৭১টি ট্রেনকে নির্ধারিত রুট থেকে ডাইভার্ট অর্থাত সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেল।