ভারতের উত্তরপূর্ব সহ পশ্চিমবঙ্গ 'দখল' করা বা ভেঙে দেওয়ার দাবিতে সম্প্রতি আলটপকা মন্তব্য করে চলেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে এই অদ্ভূত দাবি করে পোস্ট করছেন। এরই মাঝে নিজেদের দেশে চট্টগ্রাম আলাদা হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশিরা। এই আবহে সম্প্রতি গণ অধিকার পরিষদের ব্যানারে একটি মিছিল হয়েছিল ঢাকায়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সেই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতিবাদীদের দাবি ছিল, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার লক্ষ্যে ফেনিতে যেন বাংলাদেশ সেনার একটি ক্যান্টনমেন্ট তৈরি করা হয়। পাশাপাশি ভারতকে ইকোনমিক জোন তৈরির যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তা যেন খারিজ করা হয়। (আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে ধর্ষণ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের চিকিৎসকের! পরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ)
আরও পড়ুন: আরজি কর মামলা ছাড়লেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার, কী বললেন নির্যাতিতার বাবা?
গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মিয়া মশিউজ্জামান অভিযোগ করেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার করেছে ভারত। তাঁর দাবি, ভারত ক্রমাগত হাসিনাকে সমর্থন করে চলেছে যা কি না বাংলাদেশিদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এদিকে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাসান অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ভারতের কাছে সমর্পণ করেছিলেন হাসিনা। (আরও পড়ুন: হেনস্থার শিকার হয়েও দমছেন না চিন্ময় প্রভুর আইনজীবী, এদিকে করলেন পুলিশের প্রশংসা)
আরও পড়ুন: অপহরণের হুমকি বাংলাদেশে, হিন্দু নাবালিকা পালিয়ে এলেন ভারতে, ধরল BSF
উল্লেখ্য, সম্প্রতি 'চার দিনে কলকাতা দখলের' হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এক প্রাক্তন সেনা কর্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়ো। এরপরে বিএনপি নেতা রুহুল রিজভিও ভারতের একাংশ দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আবার বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধানও বলেন, 'আমরা চার দিনের মধ্যেই কলকাতা, আগরলতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারি।' যার পালটা জবাব দিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টাই 'র এজেন্ট'? মুখ খুললেন ইউনুসের সরকারে থাকা ছাত্র নেতা)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কব্জি কাটার হুমকি ত্বহা সিদ্দিকির গলায়, পাকিস্তান নিয়ে পীরজাদা বললেন…
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভি ভারতের একাংশ দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আবার বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধানও বলেন, 'আমরা চার দিনের মধ্যেই কলকাতা, আগরলতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারি।' যার পালটা তোপ দেগে বিধানসভায় মমতা বলেছিলেন, 'কেউ কেউ বলছেন, বিহার দখল করবেন, ওড়িশা দখল করবেন...আমি বলি ভাই, ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন। কিন্তু এতটাও হিম্মত আপনার কেন, কারও নেই। যে বাংলা, বিহার, ওড়িশা সব নিয়ে নেবেন, আর আমরা বসে বসে ললিপপ খাব। এটা ভাববার কোনও কারণ নেই। আমরা যথেষ্ট সচেতন নাগরিক।' এই মন্তব্যের পরদিনই বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল রিজভি আবার বলেন, 'আমরা কি আমলকি চুষব?' এই সব মন্তব্য, পালটা মন্তব্যের আবহেই এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি দুই বাংলার মধ্যে।