সম্প্রতি দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মহায্যুতির তিন শীর্ষ নেতা। সেই বৈঠকেই নাকি দাবি করা হয়েছিল, একাথ শিন্ডেকে যাতে অন্তত ৬ মাসের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। যদিও টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে দাবি করা হল, একনাথকে ৬ মাসের জন্যে মুখ্যমন্ত্রীর করার ক্ষেত্রে আপত্তি ছিল বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এভাবে ৬ মাসের মধ্যে সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হলে তা প্রশাসনিক কাজে সমস্যা তৈরি করবে। তারপরই নাকি শিন্ডে জানিয়েছিলেন, বিজেপির সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন। (আরও পড়ুন: বক্তৃতায় বিস্ফোরক শেখ হাসিনা, ইউনুসের নাম করে মারাত্মক দাবি তাঁর)
আরও পড়ুন: সম্ভলে যেতে চান রাহুল-প্রিয়াঙ্কা, 'বহিরাগত' ভাই-বোনকে আটকাতে কড়া প্রশাসন
উল্লেখ্য, রিপোর্ট অনুযায়ী, একানথ শিন্ডে নাকি বিজেপি নেতৃত্বকে মনে করান, লোকসভা ভোটের পর নাকি বিজেপি বলেছিল, বিধানসভা নির্বাচনে মহায্যুতি জোট জিতলে একনাথ শিন্ডেকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাখা হবে। যদিও সেই কথা উঠতেই বিজেপি তাদের জেতা আসনের সংখ্যা তুলে ধরে। এরপর নাকি শিন্ডেকে বলা হয়, 'আপনি নিজেকে বিজেপি সভাপতির জুতো পা গলান, তাহলে কী করতেন? এই ধরনের স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে কি আপনি মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি থেকে সরে আসতেন?' (আরও পড়ুন: কোন ৩ নীতি মেনে চিনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ভারত? জানালেন জয়শংকর)
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দেখানো পথে এবার ভেঙেই যাবে ইন্ডিয়া? অখিলেশেব ভাবগতিকে জল্পনা
সদ্য অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে ২৮৮-র মধ্যে ২৩৩টি আসনে জয় পেয়েছে মহায্যুতি জোট। তার মধ্যে আবার বিজেপি একাই ১৩২টি আসনে জিতেছে। এই আবহে মহারাষ্ট্রের পবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে অনড় বিজেপি। তবে সূত্রের দাবি, একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে ইচ্ছুক নন। তবে সম্প্রতি তিনি কিছুটা 'নরম' হয়েছেন। তবে তার আগে বিহারের উদাহরণ তুলে ধরে শিবসেনার দাবি ছিল, একনাথকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। (আরও পড়ুন: 'ধর্মীয় অপরাধের শাস্তি' পালনের সময় স্বর্ণমন্দিরে সুখবীর সিং বাদলের ওপরে চলল গুলি)
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এরপর ২০১৯ সালের ভোটের পর তিনদিনের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবেন্দ্র। ২০১৯ সালেই জোট বেঁধে নির্বাচনে লড়েছিল বিজেপি এবং শিবসেনা। তবে মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে বিবাদের জেরে উদ্ধব ঠাকরে হাত মিলিয়েছিলেন এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে। পরবর্তীতে শিবসেনাকে ভাঙিয়ে এনে জোট সরকার গড়ে বিজেপি। সেই জোটে বিজেপি 'বড় দাদা' হলেও তারা মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেয় একনাথ শিন্ডেকে। সেবার কোনও পদে থাকবেন না বলে ঘোষণাও করে দিয়েছিলেন দেবেন্দ্র। পরে দলের 'নির্দেশে' তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী হন। পরে এনসিপি ভাঙিয়ে এনেও জোটে সামিল করে বিজেপি। অজিত পাওয়ারও উপমুখ্যমন্ত্রী হন। তবে এবার বিজেপি একাই 'ম্যাজিক ফিগার'-এর কাছে পৌঁছে গিয়েছে। দলের 'স্ট্রাইক রেট' ৮৫ শতাংশের ওপরে। এই আবহে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে।