গতকাল নির্বাচনী ফলাফল সামনে আসতেই চুপ মেরে যায় কমলা হ্যারিসের শিবির। জনসক্ষে আসতে অস্বীকার করেন কমলা। সমর্থকদের হতাশ করে ফিরিয়ে দেন। এরপর ক্রমেই তাঁর হার আরও নিশ্চিত হয়েছে। এই আবহে শেষ পর্যন্ত নিজের হার স্বীকার করে নেন কমলা। ফোন করেন প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। পরে সমর্থকদের সামনে এসে বক্তব্য রাখেন তিনি। বলেন, 'হার মানছি, তবে লড়াই ছাড়ছি না।' তাঁর কথায়, 'আমি এই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিচ্ছি। তবে যে লড়াই এই প্রচারকে ইন্ধন জুগিয়েছে তা আমি ত্যাগ করছি না।' (আরও পড়ুন: 'কুৎসিত' ব্যক্তিগত আক্রমণ, বেদনাদায়ক হার ভুলে ট্রাম্পকে ফোন কমলার, বললেন কী?)
আরও পড়ুন: 'তেলুগু' ঊষা পা রাখবেন কমলার ঠিকানায়, আনন্দে গদগদ অন্ধ্রের CM চন্দ্রবাবু, বললেন…
ওয়াশিংটনের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে কমলা বলেন, 'নির্বাচনের ফলাফলকে সম্মান করাই গণতন্ত্রকে রাজতন্ত্র বা স্বৈরশাসন থেকে পৃথক করে। আজ সকালে আমি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছি এবং জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমি তাঁকে এটাও বলেছি যে, আমরা তাঁকে ও তাঁর দলকে ক্ষমতা হস্তান্তরে সহায়তা করব এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে অংশ নেব।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা যা চেয়েছিলাম, এই নির্বাচনের ফলাফল তা হয়নি। তবে যতক্ষণ না আমরা হাল ছেড়ে দেব, যতক্ষণ আমরা লড়াই চালিয়ে যাব... ততক্ষণ আমেরিকার প্রতিশ্রুতির আলো উজ্জ্বল থাকবে।'
তাঁর তরুণ সমর্থকদের হতাশার মধ্যে হাল না ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন কমলা। তিনি এই নিয়ে বলেন, 'কখনও কখনও লড়াইয়ে কিছুটা সময় লাগে। তার মানে এই নয় যে আমরা জিতব না।' উল্লেখ্য, নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন জো বাইডেন। এই আবহে হাতে খুবই অল্প সময় নিয়ে ময়দানে নেমেছিলেন কমলা। তবে প্রাথমিক ভাবে জনমত সমীক্ষার ফলাফল কমলার জন্যে বেশ স্বস্তিদায়ক ছিল। যদিও আসল নির্বাচনে ফল উলটে যায়। এই আবহে আজ ট্রাম্পকে ফোন করলেন কমলা হ্যারিস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার মেনে নিলেন কমলা। ফোনে ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা হয় কমলার। এছাড়া ট্রাম্পকে 'গোটা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট' হওয়ার পরামর্শ দেন কমলা। প্রসঙ্গত, মার্কিন মিডিয়ায় প্রকাশিত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, কমলা হ্যারিস ২২৬ ইলেক্টোরাল কলেজ পেয়েছেন। এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঝুলিতে ইতিমধ্যেই ২৯৫টি ইলেক্টোরাল কলেজ চলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, জয়ের জন্যে সেদেশে ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজের প্রয়োজন পড়ে।