২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট রাতারাতি বাতিল করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কালো টাকা রোধ করতেই সেই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে সরকারের সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। এর প্রেক্ষিতে আরবিআই এবং কেন্দ্রের থেকে হলফনামা চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। দীর্ঘ বিলম্ব এবং সু্প্রিম কোর্টের হালকা ভর্ৎসনার পর শেষমেষ হলফনামা পেশ করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র। এই আবহে কেন্দ্রের বক্তব্য, ‘সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগান, কালো টাকা এবং কর ফাঁকির মতো সমস্যাগুলির মোকাবিলা করার জন্যই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় পরিচালন পর্ষদের বিশেষ সুপারিশ মেনেই নোট বাতিল করেছিল সরকার। ধারাবাহিক পরিবর্তনশীল আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত ছিল।’
হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, ‘নোট বাতিলের কারণে যাতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কম হয়, তার জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছিল। বাস, ট্রেন এবং বিমানের টিকিট বুকিং, হাসপাতালে ভর্তি, এলপিজি সিলিন্ডার কেনার মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য বাতিল নোটগুলি ব্যবহারের ছাড় দেওয়া হয়েছিল।’ এদিকে নোট বাতিলের সুফল প্রসঙ্গে হলফনামায় কেন্দ্র বলে, ‘নোট বাতিলের ফলে ব্যবসা করার খরচ কমেছে।’
উল্লেখ্য, নোট বাতিল সংক্রান্ত ৫৮টি আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার শুনানি হচ্ছে, বিচারপতি এস আব্দুল নাজির, বিআর গাভাই, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম এবং বিভি নাগারত্নার সাংবিধানিক বেঞ্চে। এর আগে গত ৯ নভেম্বর এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি পিছিয়ে দিতে হয়েছিল কেন্দ্র সময়মতো হলফনামা পেশ করতে না পারায়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।