পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। অক্টোবর শেষ হতে চললেও ডেঙ্গি বাড়বাড়ন্ত কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তবে ডেঙ্গির বার বাড়ন্ত শুধু পশ্চিমবঙ্গেই বেশি নয়, দেশের রাজধানী দিল্লিতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। রাজধানীর একাধিক হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে।ভর্তি রয়েছেন বহু মানুষ। আর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার পরে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে লিভার এবং রক্তনালীতে। দিল্লির হাসপাতালগুলিতে এরকম অনেক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী রয়েছেন যাদের লিভার এবং রক্তনালী দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন সেখানকার চিকিৎসকরা।
Dengue: মারাত্মক গাফিলতি,প্লেটলেট দেওয়ার পরেই মৃত্যু ডেঙ্গি রোগীর: তদন্ত রিপোর্ট
দিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু চলতি মাসেই রাজধানীতে ৯৩৯ জনের বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ, এ বছরে এখনও পর্যন্ত ১৮৭৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। সুতরাং অক্টোবরেই রাজধানীতে ডেঙ্গি আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি।দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বুধবার বলেছেন, ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেনি। সরকার ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব রকমভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। ওখলার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ারের প্রধান ডা. সুমিত রায় জানান, বর্তমানে ৩৭ জন ডেঙ্গি রোগী তাদের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি জানান, প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ১০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। রোগীদের মধ্যে গুরুতর লিভারের কর্মহীনতা এবং রক্তনালীতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
চিকিৎসক জানান, ভর্তি হওয়া ডেঙ্গি রোগীদের যাদের লিভার ও রক্তনালীর সমস্যা দেখা দিচ্ছে তারা বেশিরভাগই তরুণ তরুণী। ডেঙ্গিতে প্রায় ৬০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশের লিভার বিকল হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন দিল্লিতে সাধারণত জুলাই মাসে ডেঙ্গি শুরু হয়। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে এবছর সেপ্টেম্বর থেকে ডেঙ্গি শুরু হয়েছে দিল্লিতে। সরকারী তথ্যে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালে দিল্লিতে ৪৪৩১টি, ২০১৭ সালে ৪৭৭৬টি, ২০১৮ সালে ২৭৯৮টি, ২০১৯ সালে ২০৩৬টি এবং ২০২০ সালে ১০৭২টি ডেঙ্গি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।