শচিন সাইনি ও মুকেশ মাঠরানি
ভিসা মেলেনি ভারতে আসার। নেপাল হয়ে বেআইনীভাবে পাকিস্তান থেকে ভারতে এলেন একই পরিবারের ১০ সদস্য। আপাতত রাজস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। পরিবারের ৮জন মহিলা সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে মোট ১০জন ভারতে চলে এসেছেন।তবে এই জার্নি মোটেই সহজ ছিল না। প্রায় তিনমাস সময় লেগেছে তাঁদের ভারতে আসতে। ঠিক কীভাবে তাঁরা ভারতে এলেন?
পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে তাঁরা থাকতেন। গত ৯ ডিসেম্বর তাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। এরপর তারা প্রথমে দুবাই যান। এরপর সেখান থেকে ১৬ ডিসেম্বর তারা নেপালে পৌঁছান। কিন্তু ভারতে আসার ভিসা পাচ্ছিলেন না তাঁরা।প্রায় দুমাস তারা নেপালেই ছিলেন। পরে প্রায় ১২ কিমি হেঁটে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁরা উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে পৌঁছন। সেখান থেকে গাড়িতে লখনৌ হয়ে রাজস্থানের বার্মারে পৌঁছন তাঁরা।
ওই পরিবারের কর্তা ওরো রাম বলেন, ওখানে থাকলে কী হত জানি না। ফেব্রুয়ারি ২০২১এর পর থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমার ভাই হরিশকে পুলিশ আর্থিক প্রতারণার জন্য গ্রেফতার করেছিল। সেপ্টেম্বর মাসে ভাই ছাড়া পায়। তারপর তাকে ফের অপহরণ করা হয়। ৪৭দিন পরে সে ছাড়া পেয়েছিল। কিন্তু পরিবারের মহিলাদের উপর নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
পরিবারের কর্তা বলেন, কোনও অপশন ছিল না। যদি না আসতাম তবে মেরে ফেলত ওরা। আমাদের সবার পাসপোর্ট আছে। তবে হরিশ এখনও নেপালেই রয়েছেন। কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছে ওই পরিবার। তাঁরা লিখেছেন, আমরা হিন্দু। পাকিস্তানে আমাদের জীবন বিপন্ন ছিল। মহিলাদের সেখানে ধর্ষণ করা হয় ও ধর্মান্তকরণের জন্য চাপ দেওয়া হয়। বার্মারের এসপি দীপক ভার্গভ বলেন, মহিলা ও শিশু সহ ১০জন আপাতত ধরিমানাতে রয়েছেন।