দেওঘরে রোপওয়ে দুর্ঘটনায় পর কেটে গিয়েছে ২০ ঘণ্টা। ২,০০০ ফুট উঁচুতে এখনও প্রায় ৫০ জন পর্যটক আটকে আছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার দুটি হেলিকপ্টার। কিন্তু তারের কারণে হেলিকপ্টারের ট্রলি পর্যন্ত পর্যটকদের আনতে সমস্যা হচ্ছে। তারইমধ্যে সেই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: যোগীকে নালিশ জানাতে ২১০ কিমি দৌড়, অনন্য নজির গড়ার পথে ১০ বছরের ‘অভিমানী’ কাজল
দেওঘরের ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুনাখ ভজন্ত্রী জানিয়েছেন, পর্যটকদের সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যেতে ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার দুটি হেলিকপ্টার। রবিবার রাত থেকেই ঘটনাস্থলে আছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) একটি বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন।
রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দেওঘরের বাবা বৈদ্যনাথ মন্দিরের কাছে ত্রিকূট পাহাড়ে একাধিক রোপওয়ের ধাক্কা লাগে। ৭৬৬ মিটার দীর্ঘ রোপওয়েটি ভারতের উচ্চতম 'ভার্টিকাল রোপওয়ে' বলে দাবি করা হয় ঝাড়খণ্ড সরকারের পর্যটন দফতরের তরফে। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গভীর রাতে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন পর্যটক।
তবে কী কারণে দুর্ঘটনা হয়েছে, তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। দেওঘরের ডেপুটি কমিশনারের দাবি, পুরো জেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে। উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পরে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে সেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যে ত্রিকূট রোপওয়ে পরিচালনার দায়িত্ব ছিল একটি বেসরকারি সংস্থা। যে সংস্থার আধিকারিকরা দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গিয়েছেন।