ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নবি বন্দর থানায় পাকিস্তান উপকূল রক্ষী বাহিনী ১০ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হল। জানা যায়, শনিবার গুজরাত উপকূলে মৎস্যজীবীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক উপকূল রক্ষী বাহিনী। এর জেরে একজন মৎস্যজীবীর মৃ্ত্যু হয় ও একজন জখম হন। গুজরাতের ওখাতে জখম ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে। এরপরই ভারতের তরফে এনিয়ে তদন্ত শুরু হয়।
পোরবন্দরের ইনচার্জ সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসপি) জেসি কোথিয়া বলেন, '১০ পিএমএসএ কর্মীদের বিরুদ্ধে পোরবন্দরের নাবি বন্দর মেরিন থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। দিলীপ ওরফে গাদো সোলাঙ্কির দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর। তিনি আক্রান্ত মাছ ধরার ট্রলার 'জলপরী'র ক্যাপ্টেন।'
গোটা ঘটনাকে কূটনৈতিকস্তরে তুলতে পাক হাইকমিশনারকেও তলব করে দিল্লি। ভারত সোমবার পাকিস্তানের মেরিটাইম সিকিউরিটি এজেন্সির অকারণে গুলি চালানোর ঘটনায় একজনের হত্যার প্রতিবাদে একজন সিনিয়র পাকিস্তানি কূটনীতিককে তলব করে। পাক সংস্থার এই কাজের তীব্র ভাষায় নিন্দা জানায় ভারত। পাশাপাশি পাকিস্তানকেও ঘটনার তদন্ত করতে বলে ভারত।
এদিকে উপকূলের সীমারেখা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রতি বছরই ভারত ও পাকিস্তান উভয় পক্ষই শতাধিক মৎস্যজীবীকে আটক করে। তাদের নৌকাও বাজেয়াপ্ত করা হয় সংশ্লিষ্ট দেশের বাহিনীর তরফে। এদিকে বেশ কিছুদিন জেলে কাটানোর পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। তবে এভাবে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানোর ঘটনায় পাকিস্তানের উপর ক্ষুব্ধ ভারত।