আফগানিস্তানে সরকারের পতন। তালিবানের দখলদারি। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই দূতাবাসের কর্মীদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করে ভারত। আর সেই কর্মীদের তালিকায় নাম ছিল বিশেষ ৩ জনের। তারা হল মায়া, রুবি ও ববি। কূটনীতিবিদ-রাষ্ট্রদূত, ১২৬ জন কম্যান্ডোদের সঙ্গে বিমানে ফিরিয়ে আনা হয় ওদের।
তিনজনেই বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফার ডগ। ইন্দো-তিবেতিয়ান বর্ডার পুলিশের কাছে ছোট থেকে তালিম নিয়েছিল ওরা। এরপর কাজের জন্য পাঠানো হয় আফগানিস্তানে। প্রায় প্রতিটি দেশেই দূতাবাসে সুরক্ষার জন্য স্নিফার, গার্ড ডগ রাখা হয়। কাবুলও তার ব্যাতিক্রম নয়।
মিষ্টি চেহারার মায়া একটি ফিমেল ল্যাবরেডর। চকচকে কালো, ভয় ধরিয়ে দেওয়া চেহারার রুবি একটি ফিমেল বেলজিয়ান ম্যালিনয়। অন্যদিকে বড়সড় চেহারার ববি একটি মেল ডোবারম্যান। তিনজনেরই বয়স ৫-৭ বছর।
দূতাবাস কর্মীরা জানিয়েছেন, কাবুলে বিভিন্ন ঘটনার সময়েই প্রথম রেসপন্ডারদের টিমে ছিল এই তিনজন। কম্যান্ডোদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সুরক্ষার কাজে ডিপ্লয় করা হয়েছে ওদের। দূতাবাসে প্রবেশের আগে প্রতিটি ব্যাগ, ব্যক্তি, গাড়ি শুঁকে দেখত তারা। তবেই মিলত প্রবেশের অনুমতি।
এই প্রক্রিয়ায় একাধিকবার IED-র খোঁজও দিয়েছে মায়ারা। আর তার ফলে প্রাণ রক্ষা হয়েছে দূতাবাস কর্মীদের।
আর সেই কারণেই 'ওদের যেন কোনওমতেই আফগানিস্তানে ফেলে আসা না হয়,' নির্দেশ দিয়েছিলেন দূতাবাসের বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল এস এস দেশওয়াল।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর দ্বিতীয় উড়ানের খবর পেতেই তাই আগে ওদের ফেরার বিষয়টা নিশ্চিত করা হয়। মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিমানটি দিল্লি পৌঁছয়। এরপর সেখান থেকে তাদের দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ইন্দো-তিবেতিয়ান বর্ডার পুলিশের বিশেষ কেনেলে তাদের রাখা হয়েছে।
কেনেলের এক আধিকারিক জানালেন, আপাতত কয়েক সপ্তাহ ওদের সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেওয়া হবে। এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে। তারপরে ছত্তিশগড়ে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় বাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে যাবে ওরা।