লেবাননে অস্ত্র-সহ ব্যাংকে ঢুকে নিজের টাকা দাবি করেছেন আমানতকারীরা৷ শুক্রবার এমন ঘটনা ঘটেছে রাজধানী বৈরুতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনদিন ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, আমানতকারীদের বহুদিনকার ক্ষোভের ফসল এই হামলা৷ অর্থনৈতিক মন্দার মুখে ২০১৯ সাল থেকে ব্যাঙ্কগুলো মার্কিন ডলার উত্তোলনের সীমা নির্ধারণ করে দেয়৷ এর ফলে বিপদে পড়েন অনেক গ্রাহক৷ বিশেষ করে অনেক ব্যবসায়ী এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন৷
শুক্রবার বৈরুতে এই অর্থ আমানতকারীরা ব্যাংকগুলোতে হামলা করে জোর করে অর্থ উত্তোলন করার চেষ্টা করেন৷ পাঁচটি ব্যাংকের দু'টো রাজধানী বৈরুতে, একটি বৈরুতের উপকণ্ঠে, এবং দু'টি দেশটির উত্তরাঞ্চলে৷ ‘আমার জমানো টাকা না নিয়ে আমি যাব না৷ আমি একজন ব্যবসায়ী এবং আমাকে অধীনস্থদের বেতন দিতে হবে৷ আমি আমার অধিকার ফেরত চাই।' আবেদ সুবরা নামের এক ব্যক্তি বৈরুতের ব্লোম ব্যাঙ্কের ভেতর থেকে চিৎকার করছিলেন৷
তিনি বলেন, ব্যাংক তাকে প্রতি মাসে ২০০ ডলার উত্তোলনের সুযোগ দিচ্ছে৷ অথচ তার জমা আছে দুই লাখ ডলার৷ তার ভাই আয়মান সুবরা বার্তা সংস্থা ডিপিএকে বলেন, ‘আমার ভাই একজন সৎ মানুষ৷ তিনি চোর নন৷ পরিবারের খরচ ও ব্যবসা চালানোর জন্য তার অর্থ দরকার৷’
গত কয়েকদিন ধরে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে লেবাননে৷ ওয়ার্ল্ড ব্যাংক লেবাননের অর্থনৈতিক মন্দাকে গত দেড়শ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর বলে উল্লেখ করেছে৷ জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির শতকরা ৭৪ ভাগ মানুষ মন্দায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ লেবানিজ পাউন্ডের মূল্য ৯৫ ভাগ কমেছে৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)