আমফানের একবছরের মাথায় ফের বাংলার উপর ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানি। এই আবহে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী সপ্তাহে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এ। এরপর বুধবারই তা আছড়ে পড়তে পারে বাংলা-ওড়িশা উপকূলে।
আগামী ২৩ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত মৎসজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাছাড়া মৎস্যজীবীদের রবিবার সন্ধ্যার আগেই সমুদ্র ছেড়ে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্দামান সাগর সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকবে। আগামী ২৪ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রের ঢেউ-এর উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সময় সমুদ্রে ঝোড়ো বাতাসের দাপট বেশি থাকবে।
উত্তর আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ। আগামী ২২ তারিখ এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরের উপর ২২ তারিখ পর্যন্ত এটি একটি নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করবে। এরপর এই নিম্নটাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করবে। ইয়াস ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে উত্তর-পশ্চিম দিকে ও পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হাওয়া অফিস। আগামী ২৬ তারিখ সন্ধেয় বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাব মেদিনীপুর সহ সুন্দরবনের উপরও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
ঘূর্ণিঝড়ের দাপট আগামী ২৩ তারিখের থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটাবে। ২৩ মে ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া থাকবে আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে উপকূলে। বাতাসের দাপট সর্বোচ্চ ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকবে। এরপর ঘূর্ণিঝড় যত ভূপৃষ্ঠের দিকে এগিয়ে আসবে, বাতাসে দাপট তত বৃদ্ধি পাবে।
আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ মে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে। সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুর গতিবেগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২৭ তারিখ পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির পরিস্থিতি থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে, ওড়িশায় ও বাংলাদেশ উপকূলে আগামী ২৭ তারিখ পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়ার দাপট চলবে।