কেউ বললেন, ‘প্রকৃত নেতা’। কেউ আবার বললেন, ‘ভারতমাতার সত্যিকারের সন্তান’। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীর সকালে এমনভাবেই শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তারইমধ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আবহে ‘পরাক্রম দিবস’ নাকি ‘দেশনায়ক দিবস’ পালন করা হবে, তা নিয়েও ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকট হয়ে উঠল।
নেতাজির ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে একগুচ্ছ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। ২৩ জানুয়ারিকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার কলকাতায় আসছেন মোদী। তার আগে সকালেই টুইটারে নেতাজিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান। লেখেন, 'অসামান্য স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভারতমাতার সত্যিকারের সন্তান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করছি। দেশের স্বাধীনতার জন্য তাঁর আত্মবলিদান এবং ত্যাগ সর্বদা স্মরণ করা হবে।'
কেন্দ্রের তরফে ‘পরাক্রম দিবস’ উদযাপন করা হলেও নবান্নের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে পালিত হবে নেতাজির জন্মজয়ন্তী। শনিবার সকালে মমতাও সেই কথা জানান। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘১২৫ তম জন্মজয়ন্তীকে দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধার্ঘ্য। উনি প্রকৃত নেতা ছিলেন এবং মানুষের মধ্যে একতার ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন।’
নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাজ্য সরকার কী কী পরিকল্পনা করেছে, তাও তুলে ধরেন মমতা। তিনি জানান, ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে নেতাজির জন্মজয়ন্তী। আগামী বছর ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালনের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আজান্দ হিন্দ ফৌজের নামে রাজারহাটে একটি মনুমেন্ট তৈরি করা হবে। সম্পূর্ণ রাজ্যের টাকায় নেতাজির নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হচ্ছে। বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি হবে। সেইসঙ্গে শনিবার শ্যামবাজার থেকে রেড রোডে নেতাজির মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। বেলা ১২ টা ১৫ মিনিটে সাইরেন বেজে উঠবে। সেই সময় সারা রাজ্যের সমস্ত বাড়িতে শাঁখ বাজানোর আর্জিও জানিয়েছেন।
পাশাপাশি ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রকে অবশ্যই ২৩ জানুয়ারি জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।’