শীতকালীন অধিবেশনে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা একজোট হয়েছে এটাই দেখানো ছিল মুখ্য অ্যাজেন্ডা। কিন্তু তাঁদের এই অ্যাজেন্ডার জেরেই বিরোধী প্রার্থীকে হেরে জেতে হল রাজ্যসভায়। এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে তা কেউ আশা করেননি। বিরোধীদের সমর্থনে খামতি ছিল বলেই রাজ্যসভার অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে হেরে গেলেন বিরোধী প্রার্থী।
ঠিক কী ঘটেছে উচ্চকক্ষে? রাজ্যসভায় গত ১০ ডিসেম্বর সংসদীয় কমিটির দুটি পদ খালি হয়। পিছড়ে বর্গের কল্যাণে সংসদীয় কমিটিতে দুটি পদ ফাঁকা ছিল। সেখানেই নির্বাচন হয়। বিরোধীদের পক্ষে প্রার্থী ছিলেন ভি শিবদাসন। তিনি সিপিআইএম প্রার্থী। কিন্তু বিরোধীরা ছন্নছাড়া অবস্থায় থাকায় এখানে গেরুয়া শিবির জিতে যায়। দুটি পদে জেতেন বিজেপির দীনেশচন্দ্র জেমালভাই অনাভাদিয়া এবং সকলদীপ রাজভর। সুতরাং বিরোধী ঐক্য দেখতে পেল না সংসদের উচ্চকক্ষ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিরোধীদের এই করুন পারফরম্যান্সই বিজেপিকে জয়ের মুখ দেখায়। পরিস্থিতি এমন গড়িয়েছিল যে, বিরোধী প্রার্থী পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যসভায় নির্বাচনের সময়। সংসদের এক আধিকারিক বলেন, ‘শিবদাসন নিজেই আসেননি ভোটের সময়।’ যদিও এই বিষযে শিবদাসন বলেন, ‘আমি কেরলে কিছু জরুরি কাজে আটকে পড়েছিলাম। আমরা ভোটে হেরেছি বেশি মানুষ ভোট দেয়নি বলে’। ১২টি ভোটে তিনি হেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সংসদের ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সেই ভোটগুলি তিনি পাননি। এদের মধ্যে একজন হলেন দলের নেতা এলামারাম করিম। সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের মৃত্যুতে বিরোধীরা উভয়কক্ষেই কর্মসূচি স্থগিত রেখেছিলেন। তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে। যা বিজেপির কৌশল বলে এখন মনে করছেন বিরোধীরা। বিজেপির রাজেশ ভার্মা এই পিছড়ে বর্গের প্যানেলের নেতৃত্ব দেন।