সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে পড়েছে সোনার দাম। তবে শেষ সপ্তাহে ভারতীয় বাজারে অনেকটা উত্থানের সাক্ষী থেকেছে সোনা। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ০.৪৯ শতাংশ বা ২২৫ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬,৬১০ টাকা। সার্বিকভাবে শেষ সপ্তাহে সোনার দাম বেড়েছে প্রায় ১,২০০ টাকা।
এপ্রিলের শুরুতে সোনার দাম প্রায় এক বছরের সর্বনিম্ন স্তরে (১০ গ্রামের দাম ৪৪,১০০ টাকা) পৌঁছে গিয়েছিল। বিশ্ব বাজারে হলুদ ধাতুর দাম এবং ডলার-টাকার দামের ভিত্তিতে চলতি সপ্তাহে উর্ধ্বমুখী হয়েছে সোনা। শুক্রবার ডলারের নিরিখে টাকার মূল্য এতটাই কমে গিয়েছিল যে তা ছ'মাস সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। বিশেষত ভারত অধিকাংশ সোনা বিদেশ থেকে আমদানি করে। সেই দামের মধ্যে ১০.৭৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং তিন শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়। ফলে সোনার দামে ভালোমতো প্রভাবও পড়েছে। সেই সৌজন্যেই গত বছর অগস্টে ১০ গ্রাম রেকর্ড দামে (১০ গ্রামের দাম ৫৬,২০০ টাকা) পৌঁছানোর পর থেকে হলুদ ধাতুর গ্রাফ যে নিম্নমুখী ছিল, তা কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনও সোনার উত্থান খুব একটা বেশি হবে না। বরং আগামী ত্রৈমাসিকেও সোনার নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে। সোনার দাম ঘুরে দাঁড়াতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
অন্যদিকে, শুক্রবার বিশ্ব বাজারে এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৭৪৪ ডলার। তবে শেষ সপ্তাহে সোনার দাম বেড়েছে এক শতাংশের মতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতির কারণে নিম্নস্তরে সমর্থন পাচ্ছে সোনা। আপাতত মার্কিন অর্থনীতি, টিকাকরণে অগ্রগতি এবং লগ্নিকারীদের আগ্রহের উপর নির্ভর করবে হলুদ ধাতুর দর।