ডিজিটাল হেলথ মিশন প্রকল্পটি চালু হয়েছে সোমবার। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রত্যেক নাগরিক পাবেন একটি করে হেলথ আইডি কার্ড। কার্ডে আধারের মতোই ১৪ সংখ্যার অনন্য একটি নম্বর থাকবে সেটাই হবে হেলথ অ্যাকাউন্ট নম্বর। ব্যক্তির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় রেকর্ড এই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তা সহজেই দেখে নেওয়া যাবে।
একজন রোগীর হেলথ অ্যাকাউন্টের তথ্যের মধ্যেই মিলবে - সেই ব্যক্তি কী কী শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছেন, তাঁর কী কী রোগ হয়েছে, তাঁকে কোন কোন ডাক্তার চিকিৎসা করেছেন, ব্যক্তি কী কী ওষুধ খেয়েছেন। ব্যক্তির সম্মতি পেলে এই রেকর্ড অন্যদের সঙ্গে আদান-প্রদান করার সুযোগও থাকছে।
এই কার্ডের ফলে কোনও রোগীকে আর তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়েও তাঁকে ঘুরে বেড়াতে হবে না। কারণ তাঁর হেলথ আইডি কার্ড থেকেই মিলবে তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত রেকর্ড। নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ও মোবাইল নম্বর বা আধার নম্বরের সাহায্য নিয়ে তৈরি হবে এই স্বাস্থ্য পরিচয় পত্র।
স্বাস্থ্য পরিষেবা যাঁরা দেন, তার সবিস্তার তালিকা দেওয়া থাকবে জাতীয় ডিজিটাল হেলথে মিশনে। সেখানে থাকবে হেলথকেয়ার প্রফেশনালস রেজিস্ট্রি ও হেলথকেয়ার ফেসিলিটিস রেজিস্ট্রি। চিকিৎসা সংক্রান্ত পেশাদারদের নথি ও স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারীদের তালিকা থাকবে এইচপিআর ও এইচএফআর-এ। এর ফলে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য পরিষেবার খোঁজ খুব সহজেই পাওয়া যাবে।
৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আগেই বাস্তবায়িত করা হয়েছে আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশনকে ৷ বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় এক লাখেরও বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরিচয় পত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। জাতীয় ডিজিটাল হেল্থ মিশনের জন্য হেল্থ আইডি কার্ড তৈরি করতে কোনও খরচ লাগছে না।