তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জগদীশ সিং কেহারকে পদ্ম বিভূষণে সম্মানিত করা হবে বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতে অসামরিক দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান এটি। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দেশের ৪৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন জাস্টিস জগদীশ সিং কেহার। এর আগে বিচারপতি নিয়োগের এনজেএসি আইনকে বাতিল করা বেঞ্চের মাথাতেও ছিলেন তিনি। এদিকে ভারতে শিখ সম্প্রদায়ের থেকে প্রথম প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন জাস্টিস জগদীশ সিং। তিনি ২০১৭ সালের ২২ অগস্ট পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে ছিলেন। এবং নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগেই তিন তালাক সংক্রান্ত রায় দিয়েছিল তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। (আরও পড়ুন: 'আওয়ামি লিগ যদি দিল্লির কোলে বসে…', নির্বাচনে হাসিনার দলে 'না' ইউনুসের উপদেষ্টার)
আরও পড়ুন: 'নীতি পক্ষাঘাত' দূর হতে পারে 'এক দেশ, এক নির্বাচনে', বললেন রাষ্ট্রপতি
আরও পড়ুন: 'ভারতের দিকে তাকিয়ে…', প্রাক্তন আওয়ামি MP-মন্ত্রীদের গ্রুপে তলে তলে ছক কষা হচ্ছে
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২২ অগস্ট মুসলিম সমাজে স্বামীর উচ্চারিত তিন বার ‘তালাক’ শব্দে বিবাহ বিচ্ছেদ রীতিকে (তালাক-এ-বিদ্দত) অসংবিধানিক ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। স্বামী পরিত্যক্তা পাঁচ মুসলিম মহিলার করা আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এই রায়দান করা সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের মাথায় ছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জগদীশ সিং কেহার। (আরও পড়ুন: এবার দূর হবে দুশ্চিন্তা, সরকারি কর্মীদের জন্যে চুপিসারে জারি হল নয়া বিজ্ঞপ্তি)
সুপ্রিম কোর্টের ঘোষণার জেরে তিন তালাক প্রদানকারী মুসলিম স্বামীদের শাস্তি দিতে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে সেই অর্ডিন্যান্স শেষ পর্যন্ত আইন হিসেবে পাশ হয়, যার জেরে দোষী স্বামীদের জামিন অযোগ্য তিন বছরের সাজার বিধান উল্লেখ থাকে। এই আইনে নির্যাতিতার তরফে তাঁর কোনও আত্মীয়ও অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারেন। (আরও পড়ুন: '৩ জনের নাম যাতে সামনে না আসে…', আরজি কর মামলায় বিস্ফোরক সঞ্জয় রায়ের নয়া আইনজীবী)
এদিকে তিন তালাক মামলা ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে সাহারা মামলা শুনেছিলেন তিনি। সারাহা প্রধান সুব্রত রায়কে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া বেঞ্চের সদস্য ছিলেন তিনি। এদিকে 'সম কাজে সমান বেতন' সংক্রান্ত মামলার রায়ও দিয়েছিল তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। তাতে বলা হয়েছিল, কর্মী চুক্তি ভিত্তিক হোক কি স্থায়ী, একই কাজ করলে সেই কর্মীকে সমান বেতন দিতে হবে।