আদতে মায়ানমারের বাসিন্দা। অসমের করিমগঞ্জ জেলে বন্দি রোহিঙ্গা গোষ্ঠীভুক্ত ৩৪ বছর বয়সী এক মহিলা জন্ম দিয়েছেন কন্যা সন্তানের। কিন্তু ওই শিশুর নাগরিকত্ব কী হবে তা নিয়ে নানা সংশয় দানা বেঁধেছে। সূত্রের খবর, ওই মহিলার নাম রশিদা বেগম। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমানা পার হওয়ার সময় ধরা পড়ে যান তিনি। স্বামী ও তিন সন্তান নিয়ে তারা আসছিলেন। এদিকে রুটিন চেকআপে দেখা যায় ওই মহিলা গ্রেফতার হওয়ার আগে থেকেই গর্ভবতী ছিলেন।
পুলিশি জেরায় তারা জানিয়েছিল মায়ানমারের অশান্ত পরিস্থিতির জন্য তারা অন্য দেশে পালানোর চেষ্টা করছিল। প্রাথমিকভাবে তারা বাংলাদেশে গিয়েছিল। সেখানকার কক্সবাজার এলাকায় তারা কিছুদিন ছিল। এদিকে সেখানে বাচ্চাদের জন্য খাবার জোগাড় করা যথেষ্ট কষ্টের ছিল। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে ছিল তারা। এরপর তারা ভারতে চলে আসার ছক কষে। আগরতলা হয়ে তারা অসমের করিমগঞ্জে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানেই বিএসএফের হাতে তারা ধরা পড়ে যায়। তাদের এরপর জেলে পাঠানো হয়।
করিমগঞ্জ জেলের সুপার সঞ্জীব কুমার চেতিয়া বলেন, যখন চিকিৎসক জানিয়েছিলেন যে রোহিঙ্গা মহিলাটি গর্ভবতী, তখন আমরা তার শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া শুরু করি। অন্যান্য বাচ্চাগুলি তার নর্মাল ডেলিভারির মাধ্যমেই হয়েছিল। তবে এই শিশুটি সিজারের মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ হয়েছে। শিশুটির ওজন সাড়ে তিন কেজি। দুজনেই সুস্থ আছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাদের ফের জেলে আনা হবে। তবে তাদের বাবা মা মায়ানমারের। অথচ শিশুটি ভারতে জন্মাল। তার নাগরিকত্ব কী হবে তা জানার জন্য আমরা উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইব।