একজন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, অন্যজন প্রাক্তন। রাজনৈতিক পার্টিলাইনের বিভিন্ন বিরোধের মাঝেও দুজনের মধ্যে রয়েছে সৌজন্যের সম্পর্ক। কর্ণাটকে জেডিএসের দাপুট নেতা এইচডি দেবগৌড়া এক টুইট পোস্টে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন নরেন্দ্র মোদীকে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন সূচক বার্তায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই আমার পরামর্শ গ্রহণ করার জন্য'।
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের হোয়েসালা রাজত্বের সময়ের একাধিক মন্দির ও স্থাপত্যকীর্তি ঘিরে এবার ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ট্যাগ-এর জন্য আবেজন জানিয়েছে ভারত। এইচডি দেবগৌড়া এক টুইটে দাবি করেছেন, কর্ণাটকের এই ভাস্কর্য ও স্থাপত্যকে যাতে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ট্যাগের আওতায় আনা যায়, তার আবেদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। আর দেবগৌড়ার সেই পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন বলেই তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে টুইট পোস্টে উল্লেখ করেন জেডিএসের এই বর্ষীয়ান নেতা। উল্লেখ্য, হেয়োসালা স্থাপত্যকীর্তির যেসমস্ত মন্দির বেলুর, হালেবিদ ও সোমনাথপুরায় রয়েছে তাকে ইউনসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ট্যাগের আওতায় আনার জন্য ভারত অফিশিয়াল আবেদন জানিয়েছে। এই স্থাপত্যের সঙ্গে ভারতের সংস্কৃতি, কৃষ্টি নৈপূণ্য ও ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। এই রাজত্বকালের স্থাপত্যকে বিশ্বের সামনে হেরিটেজ ট্যাগ দেওয়ার জন্য কন্নড়ভূমে ২০১৪ সাল থেকেই অনেকেই সরব হয়েছেন। তবে সেখানের হেভিওয়েট নেতা দেবগৌড়ার উদ্যোগ এই ইস্যুতে প্রকট হয়েছে বহু বলে দাবি করছে জেডিএস। যা কন্নড় রাজনীতিতে প্রচ্ছন্ন প্রভাব রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ইস্যুতে কর্ণাটকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাদ বোম্মাইও একটি পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। ফলে সেদিক থেকে রাজনৈতিক সমীকরণ হেরিটেজ ট্যাগ ইস্যুতে কোনদিকে যায়, সেদিকে তাকিয়ে বিশেষজ্ঞমহল।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের বেলুরের চান্নাকেশব মন্দির, হালেবিদের হেয়োসলেশ্বরা, সোমনাথপুরের কেশব মন্দির দর্শনে প্রতিবছরই ভিড় জমে বহু পর্যটকের। এক তারার আকৃতির তটের উপর এই মন্দির নির্মিত হয়েছে। যে তট এককূট, দ্বিকূট, ত্রিকূট নামে পরিচিত। 'রামায়ণ' ও 'মহাভারত' এর বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা মন্দিরের গায়ে খোদাই করা রয়েছে অসামান্য শিল্প নৈপূণ্যে। শিব, বিষ্ণু ও শিলাবালিকার পুজো সম্পন্ন হয় এই মন্দিরগুলিতে।