মুম্বইয়ের অন্যতম অভিজাত এলাকা বান্দ্রায় সইফ আলি খানের বাড়ির ভিতরে অভিনেতাকে পর পর কোপ বসিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালামোর অভিযোগ রয়েছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বুধবার গভীর রাত ২.৩০ মিনিট নাগাদ এই ঘটনায় গোটা মুম্বইয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বারবার শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিজেপি জোট শাসিত দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। এরপর গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার মুম্বইতে ‘ইমার্জেন্সি’র স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংএ পৌঁছন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। সেখানেই সইফ আলি খানের ওপর হামলা কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন যায় তাঁর কাছে। জবাবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,' দেশের সমস্ত মেগাসিটিগুলির মধ্যে, মুম্বই সবচেয়ে নিরাপদ। এটা সত্য যে কিছু ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটে এবং সেগুলিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত কিন্তু একটি ঘটনার ভিত্তিতে যে বলা হচ্ছে, যে মুম্বই নিরাপদ নয়, তা সঠিক নয়। এতে মুম্বইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।' একইসঙ্গে দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বলেছেন,'কিন্তু সরকার মুম্বইকে আরও নিরাপদ করতে কাজ করছে।' ফড়ণবীশ বলেন,' এ ব্যাপারে পুলিশ আপনাকে সব তথ্য দিয়েছে।' উল্লেখ্য, মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে এই হামলা চালিয়েছে। সদ্য সেই ব্যক্তিকে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে খুঁজে শণাক্ত করেছে পুলিশ। সেই ব্যক্তি এখনও অধরা। জেরা চলছে অনেকের। জানা গিয়েছে, বাড়িতে ওই ব্যক্তিকে দেখেই তাঁকে রোখার চেষ্টা করেন এক পরিচারিকা। তখনই দুজনের তর্ক বাধে। তবে কীভাবে সে বান্দ্রার ‘সতগুরু শরণ’ বিল্ডিং এ যেখানে সইফ আলি খানরা থাকেন, তার ১২ তলায় পৌঁছল, তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠছে। তদন্তে নেমে ৭ টি টিম তৈরি করেছে মুম্বই পুলিশ।
এদিকে, খোদ সইফ আলি খানের মতো সেলেবের বাড়ির ভিতর এমন হামলার ঘটনায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শিবসেনা (ইউবিটি)র প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী প্রশ্ন তুলেছেন,' যদি সেলেব্রিটিরা নিরাপদ না হন, তাহলে মুম্বইতে নিরাপদ কে?' একই শিবিরের আদিত্য ঠাকরে বিড় ও প্রভানীরর ঘটনা তুলে সেরাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ সরকারের দিকে তোপ দাগেন। তাঁর প্রশ্ন,'আমাদের কি সরকারে কেউ আছেন যিনি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে একটুও ভাবেন?' প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। তিনি তাঁর পোস্টে সইফের আরোগ্য কামনা করে বলেন,'এত বড় অভিনেতা যিনি এত নিরাপদ জায়গায় থাকেন, তাঁর বাড়িতে এভাবে হামলা হওয়া উদ্বেগের বিষয়। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। '