বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা বেআইনিভাবে পরিচয় ভাঁড়িয়ে রাজ্যে 'ভোট জিহাদ পার্ট-২' শুরু করেছে! এমনই গুরুতর অভিযোগ আনলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা মহারাষ্ট্রে এসে জন্মের শংসাপত্র চাইছে। এটা হল ভোট জিহাদ পার্ট- ২ (টু)। নাসিকের মালেগাঁও তহসিল থেকে এমন অন্তত ১০০টি ঘটনা ঘটার খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ধরনের লোকজন, এদের বয়স মোটামুটি ৫০ বছরের আশপাশে, এরা বেআইনিভাবে বিভিন্ন নথি তৈরি করিয়েছে।'
এই প্রেক্ষিতেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর রাজ্য়ে কোনও অনুপ্রবেশকারীকেই ঠাঁই দেওয়া হবে না। কারণ, তাঁর সরকার এই ধরনের অরাজকতা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর।
তাঁর আরও দাবি, এই অনুপ্রবেশকারীরা রাজ্য়ের সাধারণ জনসংখ্যার অনুপাত নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মূলত জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে এই অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রবণতা রুখতে আমজনতাকেও সতর্ক থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকতে বলে তিনি।
গত নভেম্বর মাসে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন ফড়নণবীস বলেছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের মানুষ নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে ঢালাও ভোট দিয়েছিল। সেই ঘটনাকে তিনি বলেছিলেন 'ভোট জিহাদ'।
সেবার মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু বাসিন্দারা মূলত মহা বিকাশ আঘাড়ীর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। আর, তাতেই বেজায় চটেছিলেন ফড়ণবীস।
সেই পুরোনো প্রসঙ্গে টেনেই এবার তার সঙ্গে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশের বিষয়টি জুড়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। মহারাষ্ট্রের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিশানা করেই 'ভোট জিহাদ পার্ট-২' শব্দবন্ধ ব্যবহার করলেন তিনি। সংশ্লিষ্ট মহলের অন্তত এমনটাই মতামত।
অহিল্যানগরের শিরডিতে আয়োজিত বিজেপির একটি সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় একথা বললেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।
এই মঞ্চ থেকেই সাম্প্রতিক মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দুর্দান্ত ফলের জন্য দলীয় নেতা ও কর্মীদের প্রশংসায় ভরিয়ে দেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের যোগ্য নেতৃত্বের ফলে এমনটা ঘটা সম্ভব হয়েছে।
একইসঙ্গে, তৃণমূলস্তরেরে কর্মীদেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন ফড়নবীস। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময় সমস্ত চ্যালেঞ্জ জয় করে দলের কর্মীরা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলেই বিজেপি ও তার জোটসঙ্গীরা এভাবে মহারাষ্ট্রে দুরন্ত ফল করতে পেরেছে।
অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ফড়ণবীস বলেন, 'গত ৩০ বছরের ইতিহাসে বিজেপিই একমাত্র পার্টি, যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪) মহারাষ্ট্রে ১০০-এর বেশি আসন লাভ করেছে।'