মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে যে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, যেটা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়, তা হল - সরকারে বদল না হলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে কি বদল হতে চলেছে? একনাথ শিণ্ডে কি আদৌ আর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারবেন?
তথ্যাভিজ্ঞ মহলের একাংশ ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করে দিয়েছে, শিণ্ডের কুর্সিতে ফেরার আশা নাকি ক্ষীণ! বরং, তাঁর জায়গায় মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বর্তমানে তাঁর ডেপুটি, অর্থাৎ - বিদায়ী সরকারের অন্যতম উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির হেভিওয়েট নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস।
সেই জল্পনাতেই কার্যত অলিখিত সিলমোহর দিয়ে দিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের মা! ইতিমধ্যেই ভোট গণনার যে ট্রেন্ড সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে - নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম আসনে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের জয়ের পথ ক্রমশ প্রশস্থ থেকে আরও প্রশস্থ হচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের মা সরিতা ফড়ণবীস সরাসরি বলেন, তাঁর ছেলেই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিনিধিকে তিনি বলেন, 'অবশ্যই, ও (দেবেন্দ্র ফড়ণবীস) মুখ্যমন্ত্রী হবে। ও দিনরাত এক করে অক্লান্তভাবে কাজ করেছে। শুধুমাত্র এই মুহূর্তটার জন্যই।'
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে যে মহাযুতি জোট সরকার মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় রয়েছে, তার প্রধান তিন শরিক হল - বিজেপি, শিব সেনা (একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠী) এবং এনসিপি (অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী)।
শনিবার সকালে সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গণনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে তারা। এবং সেই জয়যাত্রায় বাকি শরিকদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
সেই অঙ্কেই অনেকে মনে করছেন, এবার হয়তো আর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি শিন্ডে সেনার হাতে থাকবে না। তা চলে আসবে বৃহত্তর শরিক বিজেপির হাতে।
এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে, তা থেকেই স্পষ্ট মহারাষ্ট্রের মোট ২৮৮টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মহাযুতির ঝুলিতে প্রায় ২৩০টির মতো আসন আসতে চলেছে।
এমন ফলাফলে উচ্ছ্বসিত উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, নাগপুর দক্ষিণ-পশ্চিম আসনে দেবেন্দ্র এগিয়ে রয়েছেন ২০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে।
অন্যদিকে, ভোট গণনার এই ট্রেন্ডে আশাহত এমভিএ বা মহা বিকাশ আঘাড়ী জোট। তাদের তরফে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, 'আমরা এমন ফলাফল আশা করিনি। আমাদের সবটা খতিয়ে দেখতে হবে। এবং জনতার আশানুরূপ কাজ করার জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।'